ছাতকে জায়গা দখলের কাগজ পত্র নেই অভিযোগে ঘটনায় তদন্তে এসিল্যান্ড
ছাতক প্রতিনিধি ,সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের ছাতকে লতিফিয়া আবর আলী এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদরাসার নামে গ্রামের কিছু মানুষের মালিকানাধিন জায়গা জোর পূর্বক দখল করে ভবন ও টয়লেট নির্মাণের অভিযোগটি সরেজমিন তদন্ত করেছেন এসিল্যান্ড মো. ইসলাম উদ্দিন।
গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে তিনি উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে যান। সেখানে অবস্থিত মাদরাসা ও দখলকৃত ভূমি পরিদর্শন করেন।
এসময় মাদরাসা পরিচালক ও প্রধান হাফেজ আবুল বাশারের কাছে জায়গার দলীলপত্র চাইলে তিনি পুরো জায়গার কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। যে কারণে উভয় পক্ষকে বিরোধকৃত তাদের জায়গা-জমির যাবতীয় কাগজপত্রসহ স্ব-শরিরে আগামী সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন এসিল্যান্ড।
ওই সময় অভিযোগকারী আলী আহমদ, লিলু মিয়া, মোস্তাব আলী, বশির উদ্দিন, মুজিবুর রহমান, চেরাগ আলীসহ উভয় পক্ষের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, মাদরাসার নামে গ্রামের কিছু মালিকানাধিন জায়গা জোর পূর্বক দখল করে ভবন ও টয়লেট নির্মান করেছেন প্রতিষ্ঠান পরিচালক হাফেজ আবুল বাশার।
মানুষ চলাচলের রাস্তা, তেতইখালী নদী দখলের চেষ্টাসহ এতিমখানার নামে দেশ-বিদেশ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে আসছে। প্রতিষ্ঠানে কোন পরিচালনা কমিটি নেই। নেই আয় ব্যয়ের হিসেবও। এইসব বিষয়ে গত সোমবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,উপজেলার নিবাহী কর্মকতা,সহকারি ভুমি কমিশনার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ দপ্তর বরাবরে উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রাম ও এলাকাবাসীর পক্ষে আলী আহমদ, লিলু মিয়া, মস্তাব আলী, আবদুল আউয়াল, রুপদল, মুজিবুর রহমান, জহির আলী, চেরাগ আলী ও বশির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেছেন। একই বিষয়ে ওইদিন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরেও দায়ের করা হয় পৃথক অভিযোগ।
এব্যাপারে ছাতক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসলাম উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,প্রতিষ্টানে জায়গা কাগজ পত্র নেই,কোন কমিটিও নেই।