কুষ্টিয়া নন্দিতা সিনেমা হলে এখন শুধুই স্মৃতি
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি মো মাজহারুল ইসলাম
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার প্রানকেন্দ্রের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র “নন্দিতা” সিনেমা হলটি ভেঙ্গে ফেলার মাধ্যম এটি এখন চলে গেছে স্মৃতির পাতায়। এখন ভেঙ্গে ফেলা হলটির স্থানে পট করে জমি বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমান প্রজন্ম বিশেষ করে দুই আড়াই বছর আগে এ উপজেলার যে শিশুটি ভুমিষ্ট হয়েছে সে শিশুটি বড় হবার পর এবং দুর-দুরান্তের মানুষরা এই স্থানটিকে চিনবেন শুধুই হয়তো আবাসিক এলাকা হিসাবে। উপজেলার প্রান কেন্দ্রে ১৯৮২ সালে ঝিনাইদহ শিল্প ব্যাংক থেকে ১৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা নিয়ে ৪৩ শতক জমির উপর কুষ্টিয়া থানা পাড়ার কর্ণেল সাইদুর রহমান “নন্দিতা সিনেমা” হল প্রতিষ্ঠা করেন। সিনেমা হলটি চালুর পর অত্র অঞ্চলের বিনোদন প্রিয় দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে। সিনেমা হলটি চালুর পর ব্যবসায়িক সাফল্য যখন তুঙ্গে তখন হলটির মূল মালিক কর্ণেল সাইদুর রহমান আকস্মিক মৃত্যু বরন করেন। ছন্দপতন ঘটে হলটির ব্যবসায়িক সাফল্যে। সাথে বাড়তে থাকে ঋনের সুদ। এরপর ঈশ্বরদীর মধু খন্দকার বিনোদন কেন্দ্রটি চালুর উদ্যোগ নেন। ৬ মাসের মাথায় হলটি বন্ধ হয়ে যায়। এবার ঢাকার রুহুল আমিন ভুঁইয়া লীজ ভিত্তিতে হলটি চালু করেন। তাকেও ৮ মাসের মাথায় হলটি বন্ধ করতে হয়। এরপর নারায়নগঞ্জের এম, এ মান্নান উদ্দ্যোগ নিয়ে হলটি ৩ বছর চালু রাখেন। মেহেরপুরের পটল ১ বছর এবং রাজবাড়ীর শরিফুল ইমাম মূল মালিকের স্ত্রীর সাথে পার্টনার শীপে ২ বছর চালু রাখলেও নিয়মিত করতে পারেননি। সর্বশেষ ১৯৯৮/৯৯ সালে হলটি বন্ধ হয়ে যাবার পর আর চালু করা যায়নি। সময়মত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে শিল্প ব্যাংকের ১৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঋণের সুদ এবং আসল মিলে ৭০ লক্ষ টাকায় দাঁড়ায় বলে একটি সুত্র থেকে জানা যায়। শিল্প ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হলটির মূল মালিকের স্ত্রী সাঈদা আক্তার সাঈদ তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তেলেসমাতি কায়দায় ৭০নন্দিতা সিনেমা হলে এখন শুধুই স্মৃতি
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি মো মাজহারুল ইসলাম ঃ
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার প্রানকেন্দ্রের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র “নন্দিতা” সিনেমা হলটি ভেঙ্গে ফেলার মাধ্যম এটি এখন চলে গেছে স্মৃতির পাতায়। এখন ভেঙ্গে ফেলা হলটির স্থানে পট করে জমি বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমান প্রজন্ম বিশেষ করে দুই আড়াই বছর আগে এ উপজেলার যে শিশুটি ভুমিষ্ট হয়েছে সে শিশুটি বড় হবার পর এবং দুর-দুরান্তের মানুষরা এই স্থানটিকে চিনবেন শুধুই হয়তো আবাসিক এলাকা হিসাবে। উপজেলার প্রান কেন্দ্রে ১৯৮২ সালে ঝিনাইদহ শিল্প ব্যাংক থেকে ১৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা নিয়ে ৪৩ শতক জমির উপর কুষ্টিয়া থানা পাড়ার কর্ণেল সাইদুর রহমান “নন্দিতা সিনেমা” হল প্রতিষ্ঠা করেন। সিনেমা হলটি চালুর পর অত্র অঞ্চলের বিনোদন প্রিয় দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে। সিনেমা হলটি চালুর পর ব্যবসায়িক সাফল্য যখন তুঙ্গে তখন হলটির মূল মালিক কর্ণেল সাইদুর রহমান আকস্মিক মৃত্যু বরন করেন। ছন্দপতন ঘটে হলটির ব্যবসায়িক সাফল্যে। সাথে বাড়তে থাকে ঋনের সুদ। এরপর ঈশ্বরদীর মধু খন্দকার বিনোদন কেন্দ্রটি চালুর উদ্যোগ নেন। ৬ মাসের মাথায় হলটি বন্ধ হয়ে যায়। এবার ঢাকার রুহুল আমিন ভুঁইয়া লীজ ভিত্তিতে হলটি চালু করেন। তাকেও ৮ মাসের মাথায় হলটি বন্ধ করতে হয়। এরপর নারায়নগঞ্জের এম, এ মান্নান উদ্দ্যোগ নিয়ে হলটি ৩ বছর চালু রাখেন। মেহেরপুরের পটল ১ বছর এবং রাজবাড়ীর শরিফুল ইমাম মূল মালিকের স্ত্রীর সাথে পার্টনার শীপে ২ বছর চালু রাখলেও নিয়মিত করতে পারেননি। সর্বশেষ ১৯৯৮/৯৯ সালে হলটি বন্ধ হয়ে যাবার পর আর চালু করা যায়নি। সময়মত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে শিল্প ব্যাংকের ১৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঋণের সুদ এবং আসল মিলে ৭০ লক্ষ টাকায় দাঁড়ায় বলে একটি সুত্র থেকে জানা যায়। শিল্প ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হলটির মূল মালিকের স্ত্রী সাঈদা আক্তার সাঈদ তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তেলেসমাতি কায়দায় ৭০ লক্ষ টাকার সুদ আসল অবিশ্বাস্য রকম মওকুফ করিয়ে শুধুমাত্র আসল টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে হলটির দখল নিয়ে তড়িঘড়ি করে ভেঙ্গে ফেলে সেখানে উচ্চমূল্যে কাঠা প্রতি জমি বিক্রি করে দিয়েছে। লক্ষ টাকার সুদ আসল অবিশ্বাস্য রকম মওকুফ করিয়ে শুধুমাত্র আসল টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে হলটির দখল নিয়ে তড়িঘড়ি করে ভেঙ্গে ফেলে সেখানে উচ্চমূল্যে কাঠা প্রতি জমি বিক্রি করে দিয়েছে।