মির্জাগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ
মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর হোসেন জুয়েল।
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। সম্পত্তির মালিকানা দাবি করা ভুক্তভোগী মোঃ খলিলুর রহমান উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মির্জাগঞ্জ এমপি মামলা নং-১২১/২০২৩ দায়ের করেন ।
জানা যায়, মির্জাগঞ্জ উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক লাগোয়া জে.এল ৪০ চল্লিশ মৌজা উত্তার সুবিদখালী উক্ত এস এ ২৭৩ নং খতিয়ানের ৮৩০/৩১ নং দাগে মোট জমি- ২২.০০+৩.০০ = ২৫.০০ শতাংশ। জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত মোঃ খলিলুর রহমান। কিন্তু ক্রায় সূত্রের মালিকানা দাবি করে জোরপূর্বক ভাবে বহু তালা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন মোঃ ফোরকান মুসল্লী ও তার ভাই ফরহাদ মুসল্লী।
এ নিয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান। মামলার রায়ে আদালত সকল স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
এদিকে, মির্জাগঞ্জে থানা কতৃক আদালতের ওই আদেশের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ মতে নির্দেশিত হইয়া ২য় পক্ষকে তফসিল বর্নিত সম্পত্তিতে শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ প্রদান করলেও বিবাধী পক্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ও তার নিজের প্রভাবে মোঃ ফোরকান মুসুল্লি গংরা কাজ চলমান রেখে পাকা ভবন নির্মানের কাজ অব্যাহত রাখে।
ভুক্তভোগী মোঃ খলিলুর রহমান জানান আমার পৈত্রিক সম্পত্তি উপরে একই গ্রামের ফোরকান মুসল্লী ও তার ভাই বহুতলা ভবন নির্মাণ কাজ জোরপূর্বক শুরু করে আমি বাধা দিলে আমাকে মারধর করার হুমকি দেয় তাই আমি উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে মামলা নং ১২১/২০২৩। উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ওই জমির নির্মাণ কাজের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফোরকান মুসল্লী ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রাখে তাই আমি মির্জাগঞ্জ থানায় ফোন দিলে পুলিশ এসে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন। মহামান্য আদালতের কাছে আমার আকুল আবেদন যাহাতে আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝে পাই।
এ বিষয়ে বিবাদীপক্ষ মোঃ ফোরকান মুসল্লির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এই জমির মালিক ক্রায় সূত্রে তাই আমি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছি এতে প্রথম পক্ষ কোন জমি পাবে না আর প্রথম পক্ষ খলিলুর রহমান যে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন এবং নিষেধাজ্ঞা জারী হয়েছে তা আমি জানিনা। আমার ভবনের নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময় পুলিশ এসে ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে যান এখন আদালতে আমার জমির কাগজপত্র দেখে যদি আমি পাই তাহলে আমাকে দিবেন এটা আমি আশা করি।