সালথা উপজেলায় আমন ধানে পোকার আক্রমণে দুশ্চিন্তায় কৃষক
আমন ধানে অতিরিক্ত পোকার আক্রমণে দুশ্চিন্তায় পরেছে কৃষক। তিন চার বার কিটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার।চলতি আমন মৌসুমে ধানে হঠাৎ বেড়েছে পোকার আক্রমণ। বিগত মৌসুমে এক থেকে দুই বার কিটনাশক প্রয়োগ করে প্রতিকার মিললেও চলতি মৌসুমে তিন থেকে চার বার কিটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার। এতে হতাশায় পরেছে কৃষকেরা। কৃষকদের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে সেবা দিচ্ছে কৃষি অফিসার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের মোট লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ১৬৮৫০হে: হাইব্রিড জাতের ২০০০ হে:, স্থানীয় জাতের ৫ হে:এবং উপশী জাতের ১৪৮৪৫ হেক্টর জমি আবাদ হয়েছে।
আজ ১১ রই অক্টোবর বুধবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কিছু কৃষকদের সাথে। ৫ নং সোনাপুর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন গত বছর ধান ক্ষেতে দুইবার কিটনাশক প্রয়োগ করে পোকামাকড় মুক্ত ঝকঝকে ধান ঘরে তুলেছিলাম। এই মৌসুমে ধানক্ষেতে এখন পযর্ন্ত চারবার কিটনাশক প্রয়োগ করেছি তার পরেও পোকার আক্রমণ থেকে ধানক্ষেত রক্ষা করতে পারছিনা।
সন্ধ্যারই এলাকার মোঃ সাইদুল ইসলাম মোশারফ মাতুব্বার সহ একাধিক কৃষক বলেন, হঠাৎ করে এই মৌসুমে ধানে পোকার আক্রমণ খুব বেশি, সাথে লিপব্লাস্ট এর আক্রমণ। তিন চারবারে বিঘা প্রতি তিন হাজার টাকার কিটনাশক ব্যবহার করেছি। এতেও নিশ্চিত হতে পারছি না। তারা বলেন সর্বশেষ কৃষি সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে সর্বশেষ কীটনাশক প্রয়োগ করে ফসলের অবস্থা উন্নতির দিকে।
৭ নং ওয়ার্ডের ফুকরা গ্রামের কৃষক মোঃ পিকুল খান সাথে কথা হলে তিনি জানান আমি কিটনাশক প্রয়োগ করে পোকার আক্রমণ না কমায় কৃষি কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ অনুযায়ী ধান ক্ষেতে আলোর ফাঁদ তৈরি করে অনেকটা প্রকার আক্রমণ কম দেখতে পাচ্ছি।
সালথা উপজেলার কৃষি অফিসার, বলেন আমাদের কৃষি উপসহকারী গন সর্বাক্ষনিক মাঠে কাজ করছে, কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে। কৃষকের ফসলের কোন সমস্যা হলে যতদ্রুত সম্ভব কৃষি উপসহকারি অথবা কৃষি সম্পসারণ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। কিন্তু তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ না করে স্থানীয় কিটনাশকের দোকানে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ঔষধ অপ্রয়োজনীয় ঔষধ ব্যবহার করছে এতে ফসল আরো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।এখন পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ বেশি হচ্ছে। বৈরি আবহওয়া ও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে এরকম হচ্ছে। পাতা মোড়ানো পোকার জন্যে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম করাটাপ জাতিয় ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। কৃষকদের ফসলের যেকোনো সমস্যায় আমরা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।