বন্ধুর বিরুদ্ধে প্রবাসী নারীর অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ, প্রাণ নাশের হুমকি
বিপদে বন্ধুর পরিচয়, কথাটি ভদ্র সমাজে বহুল প্রচলিত হলেও বাস্তবে তা ভিন্ন। বন্ধুর বিপদে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করে আজ নিজেই বিপদের সম্মুখীন মর্জিনা খাতুন রিমা নামের এক জর্ডান প্রবাসী নারী। সম্প্রতি ওই নারী তার বৈধ অর্থ ফেরতের আশায় ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।ভুক্তভোগী ওই প্রবাসী নারীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়, এরপর তৈরি বন্ধুত্বের। বগুড়া জেলার ধুনট থানার চৌবাড়িয়া গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের মেয়ে মর্জিনা খাতুন রিমার বন্ধু মোকারম হোসেন।
একসময় ছিলেন ওমানে। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে শুরু হওয়া বন্ধুত্ব একসময় পারিবারিক ভাবে ঘনিষ্ঠতায় রুপ নেয়।তথ্য অনুযায়ী অভিযুক্ত মোকারম হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার বিন্দাহাটি গ্রামের কুদরত আলীর পুত্র। ওমানে থাকাকালীন সময়ে অবৈধ পথে মোকারম পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত হলে তাকে গ্রেফতার করেন দেশটির আইন শৃঙ্খলা বাহিনী । কিছুদিন জেল হাজতে থাকার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং দেশে ফেরত আসা সংক্রান্ত মোটা অংকের টাকা খরচ হয় মোকারমের। দেশে অবস্থানরত পিতা মাতার অনুরোধে মোকারমকে দেশে ফেরত আনার জন্য মোবাইল ব্যংকিংয়ের মাধ্যমে দেড় লক্ষ এবং ভাইয়ের দ্বারা ৫০ হাজার মোট দুই লক্ষ টকা দেন মর্জিনা খাতুন। কথা ছিল দেশে এসে সমূদয় টাকা এক যোগে ফেরত দিবেন মোকারম, তবে এখনও টাকা ফেরত পাননি রিমা বরং পাওনা টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন পায়তারাসহ প্রাণ নাশেরও হুমকি দেন মোকারম।এবিষয়ে মর্জিনা খাতুন রিমার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিপদের সময় তার পিতা মাতার অনুরোধে আমি আমার সাধ্যমত তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি, কথা ছিল আমার দেওয়া দুই লাখ টাকা দেশে এসে আমাকে ফেরত দিবেন। কিন্তু এখনো ফেরত দিচ্ছে না। পাওনা টাকা ফেরত চাইলে নানান হুমকি দিচ্ছে এমনকি আমার ভাই দেরকে ও আমার একমাত্র কন্যা কে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি এখন নিরুপায় হয়ে পড়েছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।এব্যপারে রিমার ভাই মোঃ ইউসুফ আলী বলেন, তার বিপদের সময় আমি নিজ হাতে তার পরিবারের নিকট ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি, আমার বোন দিয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার। কিন্তু টাকা ফেরত চাইলে নানা ধরনের পায়তারা করছেন মোকারম। আমাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোকারম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি কোন টাকা নেয়নি, আর মর্জিনা নামের কাউকে আমি চিনি না।