ছাতকে এতিমখানার পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর নানা অভিযোগ
ছাতকের লতিফিয়া আবর আলী এতিমখানার নাম ভাঙ্গিয়ে গ্রামবাসীর জায়গা দখল সহ নানা অভিযোগ এনে,সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসব অনিয়মের মাধ্যমে মাত্র কয়েক বছরে এতিমাখানার পরিচালক হাফিজ আবুল বশরের ভাগ্যের পরিবর্তন সহ তার আয়ের উৎস নিয়েও এলাকায় দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। গ্রামবাসীর জায়গা জোরপুবক দখল করে ভবন নির্মান চাদাবাজি,প্রতারনা সহ নদী দখলের ও অভিযোগ উটেছে তার বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে( গত ২ অক্টোবর) সোমবার আলমপুর গ্রাম বাসির পক্ষে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার ও উপজেলার নিবাহী কর্মকতা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন,লিলু মিয়া, আব্দুল আউয়াল,মুজিবুর রহমান,চেরাগ আলী ও বশির সহ একাধিক ব্যক্তিরা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর খুরমা ইউপির আলপুর ও মানজিহারা গ্রামে আবর আলীএতিমখানার সাইন বোর্ড দিয়ে ও এতিমখানার নাম ভাঙ্গিয়ে গ্রাম বাসির মালিকানাধীন জমি দখল করার পায়তারা চালাচ্ছেন।
জোরপূর্বক দখল করা জমিতে সুনামগঞ্জ সিলেটের প্রবীন আলেম আল্লামা আব্দুল হাই (মুহাদ্দিস) এর নাম ব্যবহার করে নির্মান করা হয়েছে ভবন।
পাশাপাশি চালানো হচ্ছে তেতইখালি নদী দখলের চেষ্টা। এতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে হাজার হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তা ।
এছাড়াও এতিমখানার নামে দেশ বিদেশ থেকে লাখ লাখ টাকার চাদা, ভূয়া কমিটি সহ গ্রামের নাম ব্যবহার করে প্রায় ৯ বছর ধরেই চলছে এসব প্রতারনাসহ নানা অনিয়ম।
হাফিজ আবুল বশর উপজেলার উত্তর খুরমা ইউপির আলমপুর গ্রামের আশকর আলীর পুত্র।
এতিমখানা পরিচালনা কমিটিতে দুটি গ্রামের মানুষদের মধ্যে কারও নাম নেই বলেও উভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
তার একক নেতৃত্বে এতিম খানার নাম ভাঙ্গিয়ে গ্রামের মানুষের গরু ছড়ানো,চলাচলে রাস্তা বন্ধ করা, লেপটিন) দিয়ে নদীর পানির পরিবেশ নষ্ট করা সহ বিভিন্ন পায়তারা চালাচ্ছে। এমনকি সরকার দলীয় এমপি মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে গ্রামের লোকজনদের সাথে নানা দাপট দেখিয়ে আসছেন তিনি।
ইতিমুধ্যে তার নেতৃত্বে গ্রামের একটি সিন্ডিকেট চক্র পতিত সম্পত্তির উপর ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।
গত মাসে উভয় পক্ষকে নিয়ে এলাকার গন্যমান্য লোকজনের কাগজপত্র নিয়ে একাধিক শালিশ বৈঠক অনুষ্টিত হলে ভূমির মালিকপক্ষ মালিকানার সকল কাগজপত্র নিয়ে হাজির হলেও হাফিজ আবুল বশর বিভিন্ন অজুহাতে শালিশ বৈঠকে আসেনি বলেও জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা।
এসব বিষয় নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে যে কোন সময় দাঙ্গা হাঙ্গামা সহ খুন খারাপির সম্ভাবনা ও শান্তি শৃঙ্খলার চরম আশংকা বিরাজ করছে।
এসব বিষয় অস্বীকার করে প্রতিষ্টানটির পরিচালক হাফিজ আবুল বশর বলেন,তার আত্তীয় স্বজন সবাই প্রতিষ্টিত এবং এতিমখানার জমিগুলা বিভিন্ন ব্যাক্তিরা দান করেছেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরের জামান চৌধুরী অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তদন্ত পুবক আইনাগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।