আলমডাঙ্গার ডম্বলপুরে পল্লী চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলামকে হত্যা মামলার মূলরহস্য উদঘাটন
Spread the love

আলমডাঙ্গার ডম্বলপুরে পল্লী চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলামকে হত্যা মামলার মূলরহস্য উদঘাটনস হ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায়২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গার ডিবি পুলিশ। এবং বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

 

 

উল্লেখ্য যে আলমডাঙ্গার ডম্বলপুর-মাধবপুরে সংযোগ ব্রিজের উত্তর-পূর্ব পিলারের সাথে সাদা গেঞ্জি দিয়ে মুখ বাঁধা, গলায় লাল রঙের গামছা পেঁচানো, গলায় রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় কুমার নদীতে অর্ধডুবন্ত অবস্থায় লাশের সংবাদ পেয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে মোঃ মকবুল হোসেনের ছেলে পল্লী চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। এ বিষয় আলমডাঙ্গা থানায় মোঃ সানোয়ার হোসেনের ছেলের জীবন হোসেন, ও মৃত খেলাফত মন্ডলে ছেলে, মোঃ সানোয়ার হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭জন আসামীর বিরুদ্ধে পল্লী চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ বিউটি খাতুন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের নির্দেশনায়

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম)-এর তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)-এর নেতৃত্বে আসামী গ্রেফতার ও হত্যা মামলার মূলরহস্য উদঘাটনের জন্য ডিবি ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একাধিক টিম তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে নামে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার
৩ ঘন্টার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার

বেলা আনুমানিক ১:৩০ মিনিটে দিকে
এজাহারনামীয় আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করে। আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম তৌহিদুল ইসলামের কন্যা তামান্না খাতুনের সাথে

১নং আসামী জীবনের গত দুই মাস পূর্বে পরিবারের অসম্মতিতে পালিয়ে বিবাহ হয়। এ সংক্রান্তে ভিকটিম আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। বিবাহের পর থেকে ভিকটিমের মেয়েকে আসামীরা বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। ভিকটিমের মেয়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আসামীর বাড়িতে বিষ পান করে। বর্ণিত বিষয়ে

 

পল্লী চিকিৎসক তৌহিদুল ও আসামীদের
সাথে ঝগড়া-বিবাদ হয়। ১নং আসামী জীবন ও ২নং আসামী সানোয়ারকে ভিকটিম ও তার পরিবার অপমান-অপদস্থ করে। অপমানের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে আসামীদ্বয়। আসামীদ্বয়ের (পিতা ও পুত্র) পরিকল্পনা অনুযায়ী

গত ২৮ তারিখ বৃহস্পতিবার আনুমানিক
রাত ১২: ৩০ মিনিটের দিকে পল্লী চিকিৎসক তৌহিদুল কে কৌশলে মাধবপুর এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়। ডম্বলপুর-মাধবপুর সংযোগ ব্রিজের নিকট পৌঁছালে ২নং আসামী সানোয়ার গতিরোধ করে এবং ১নং আসামী পিছন থেকে গলায় গামছা ও মুখের ভিতরে সাদা গেঞ্জি ঢুকায়ে শ্বাসরোধ করে। শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করে ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য ভিকটিমের গলায় রশি দিয়ে ব্রিজের রেলিংয়ের সাথে ঝুলিয়ে দেয়।

সমস্ত তথ্যপ্রমাণে সহযোগিতায় আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। ১নং আসামী জীবন হোসেনকে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে বিজজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।

 

সর্বশেষ খবর

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728