৬০ বছর পর হিজলা থানার জমি উদ্ধার করলো প্রশাসন ৷
হিজলা উপজেলা প্রতিনিধি
মাওঃজাহিদুল ইসলাম কাসেমী
বরিশালের হিজলা উপজেলার ৩ একর ৭৭ শতাংশ জমি বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুজ্জামান (বি পি এম) এর নেতৃত্বে উদ্ধার করা হয়েছে।জানা যায় ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে চর হিজলা নামক এলাকায় হিজলা থানা প্রতিষ্ঠিত হয়ে থানার কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে দিকে মেঘনা নদীর প্রবল তাণ্ডবে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় থানা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।এরপর থানার জমির সহ বিস্তীর্ণ এলাকা সিকস্তি, পয়েস্তি হয়ে যায়,নদী শান্ত হয়ে যখন চর লেগে উঠে তখন ওই জমি স্থানীয়দের দৃষ্টি পড়ে অনেকেই জবর দখল করে জমি ভোগ করে আসছিল।স্থানীয় মেজববাউদ্দিন চৌধুরী অপু, নিপু ও শাহাবুদ্দিন চৌধুরী তিন ভাই মিলে ১৩৫/৭২ ভুয়া দাঁড়া দেখিয়ে অদ্যবধি ভোগ করে আসছে।দীর্ঘ ৬০ বছর পর বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার অহিদুজ্জামান বিপিএম এর সময়ের সাহসী নেতৃত্বে ৩ একর ৭৭ শতাংশ জমি উদ্ধার করে থানার সাইনবোর্ড লটকিয়ে নিশানা টানিয়ে দেয়।
উদ্ধারকৃত জমি উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের চর হিজলা মৌজার জে এল ৫৮ সিএস খতিয়ান ১৩ আর এস ২৮ এবং এসে ৬৪ দাগের ৩.৭৭ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বরিশাল পুলিশ সুপার ওয়াহিদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন বরিশাল জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে সরকারের বেদখলকৃত কয়েক কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে এখনো অনেক জায়গায় রয়েছে তাও উদ্ধার করার প্রক্রিয়া চলছে।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন হিজলা থানা অফিসার ইনচার্জ জুবাইর আহমেদ ও ইন্সপেক্টর আব্দুর রহিম।
উদ্ধারকিত জমি পরিদর্শন শেষে নারিকেল চারা রোপন করে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা, এ সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম মানিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাজাহান হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত সিংহ, হিজলা গৌরবদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলন, হিজলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।