ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় প্রশাসনের আয়োজনে সামাজিক সম্প্রীতি উদ্বুদ্ধকরণ, ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করণ, ধর্মীয় উৎসবে যথাযথ ভাবগম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে পরিবেশকে অক্ষুন্ন রাখতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, জেলা পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান আসাদ, সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা, সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াসিন আলী, ঠাকুরগাঁও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুণাংশু দত্ত টিটু, ঠাকুরগাঁও জেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন ঘোষ।
সভায় রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রাণীশংকৈল উপজেলা আওয়ামীলীগ তাজউদ্দীন আহমদ, মেয়র রাণীশংকৈল মোস্তাফিজুর রহমান, ভাইসচেয়ারম্যান রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদ সোহেল রানা , শেফালী বেগম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাণীশংকেল উপজেলা, বীরমুক্তিযোদ্বা হবিবর রহমান, গুলফামুল ইসলাম মন্ডল,ওসি রাণীশংকৈল, রাণীশংকৈল উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ছবি কান্ত দেব, রাণীশংকৈল উপজেলা পূজা উদযাপন সাধারণ সম্পাদক সাধন বসাক, আট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ প্রতিটি মন্দিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলায় ৫৪ টি পূজা মন্ডবে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এতে যেন কোন ধরণের অপরাধমূলক কাযক্রম না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পূজার সময় ডিজে পার্টি চলবে না, একই দিনে সকল মূর্তি বিসর্জন দিতে হবে, নিরাপত্তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে, সিসিটিভি ক্যামেরা রাখতে হবে এ ধরণের নানা পরামর্শমূলক ও সমস্যা সমাধানের কথা জানান তারা। পূজার সময় উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগীতা করবে বলে আশ্বাস দেন তারা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক।