জাল শইয়ে জমি বিক্রি অভিযোগ , তথ্য চাওয়াতে সাংবাদিক পরিচয়ে সাংবাদিক কে নিউজ না করার হুমকি
নীলফামারীতে বাবার শই জাল করে রোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে হাফিজুর রহমান নামে একজনের বিরুদ্ধে ।ঘটনা টি ঘটে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৪ নং খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দোহলপাড়া নামক এলাকায় ।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হাফিজুর রহমান উক্ত ইউনিয়নের দোহল পাড়া এলাকায় মৃত মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল এর পুত্র। এবং অভিযোগ কারী ব্যক্তি সাংবাদিক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ সরকার অভিযুক্ত হাফিজুর রহমানের বড় ভাই।
সরজমিনে গিয়ে কয়েকজন সাথে কথা হলে তারা জানান মৃত আব্দুল আউয়াল এর ৫ মেয়ে ও ২ ছেলে তাদের মধ্যে জমি জমা নিয়ে প্রায় ঝগড়া বিবাদ ঘটতো যার ফলে তাদের বাবা মৃত মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল তাদের মধ্যে জমি ভাগ করে দেয় এসময় আমাদের এই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম লিথন এর উপস্থিত ছিলেন তার উপস্থিতিতে তাদের বাবা জমি গুলো তাদের ৫ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করে দেন । এর পরে কি হয়েছে তা আমরা বলতে পারবো না।
এদিকে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমানের সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার পর তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন এটা আমাদের পারিবারিক ব্যাপার।
জাল শই এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমার বড় ভাই আব্দুল হামিদ সরকারের কাজ তিনি শই টি জাল করতে পারে।
তাছাড়া ও তিনি আরো বলেন আমরা ২ ভাই এবং ৫ বোন আমাদের বাবা আমাদের কে জমি ভাগ করে দিয়েছে এখন আমি আমার জমি কি করবো সেটা আমার ব্যাপার।
তিনি আরো বলেন আমরা বড় ভাই মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ সরকার একজন চিটিংবাজ বাজ তিনি আমাকে আমার বড় বোনদের কে এবং কি আমার বাবা কে ঠকিয়েছে তিনি বাবার পেনশন এর টাকা মেরে দিয়েছে আমাদের কে কিছু দেয়নি।
অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান কে রোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে জমি বিক্রি এবং আব্দুল হামিদ সরকারের বাড়িতে হামলার ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন শই যদি জাল হতো তাহলে রোটারি পাবলিক জমিটা বিক্রির সাহস পেতো না । শই টি অরিজিনাল হওয়ায় তারা জমি টি বিক্রি করতে পেরেছে ।
বাড়িতে হামলার বিষয়ে আবারো প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয় টি এরিয়ে যান।
এদিকে অভিযোগ কারী ব্যক্তি সাংবাদিক আব্দুল হামিদ সরকারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন তাদের দেয়া সব তথ্য বানোয়াট এবং সাজানো তারা আমার বাসায় হামলা করে, শই জাল করে রোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে জমি বিক্রি করে সব কিছুর তথ্য আমার কাছে আছে , এবিষয়ে আমি ডিমলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন এর সাথে কথা বলেছিলাম ওনাকে অভিযোগ পত্র ও দিয়েছিলাম তিনি একাধিক বার তাদের কে সাথে নিয়ে বসতে চেয়েছিলেন কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি , আপনারা চাইলে আমি আপনাদের সব তথ্য দিতে পারি।
এদিকে ৪ নং খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম লিথন বলেন আমি তাদের বিষয় টি নিয়ে একাধিক বার বসে ছিলাম কিন্তু তারা মানে না , তাদের বাবা থাকা কালীন সময়ে জমি গুলো তাদের কে ভাগ করে দেয় সেসময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তবে কিছু দিন হাফিজুর রহমান অন্য একটি দলিল নিয়ে আমার কাছে আসে আমার একটি শই নেয়ার জন্য কিন্তু আমি তাতে শই দেইনি কারণ বিষয় টি তখন আমার কেমন একটু লেগেছিল। তবে আপনারা যেহেতু বলছেন শই জাল করে জমি বিক্রি করা হয়েছে তো আপনার তাদের বাবার সোনালি ব্যাংকের চেকের শই এবং যে জাল শই সেটা আমাকে পাঠিয়ে দিন আমি দেখলে বিষয়টি বলতে পারবো।
জাল দলিলে শই করা রোটারি পাবলিক নীলফামারীর সদস্য জনাব মোহাম্মদ সাইদুর রহমান এর সাথে তার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি এবিষয়ে কিছু বলতে পারছি না কারন ঘটনার ৫ বছর পেরিয়ে গেছে , তাই আমার মনে পড়ছে না, আর আপনাদের যেহেতু শইটি জাল মনে হচ্ছে সেক্ষেত্রে আপনারা কাগজটি নিয়ে অফিসে আসেন এবং সেটি পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হোক।
এবিষয়ে ডিমলা উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি এবিষয়ে তাদের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেছিলা তাদের কে নিয়ে বসে এটার সমাধান করার চেষ্টা ও করেছিলাম কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কেউ আসেনি।
এদিকে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লাইছুর রহমান বলেন জাল শই বিষয় টি নিয়ে আব্দুল হামিদ সরকার নামে একজন ব্যক্তি একটি অভিযোগ করেছে তবে বিষয় টি আমরা তদন্ত করে দেখতেছি।
এদিকে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান কে ফোন দিয়ে তথ্য চাওয়াতে তার ভাগিনা ডালিম শেখ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মুঠো ফোনে বাজে ভাষায় কথা বলেন এবং বলেন আপনি কোন পত্রিকার সাংবাদিক তুই কত বড় মাপের সাংবাদিক আমি বলছি এই নিউজ টা করবি না আমাকে তুই চিনিস না আমি কিন্তু ৪/৫ মামলার আসামি কোন কিছু ভয় পাইনা