সোনাইমুড়িতে দিঘি ইজারা কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে
নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর একটি সরকারি দিঘির ইজারাদারদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দেউটি ইউনিয়নের পতিশ দিঘির ইজারা কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন ও ক্যাশিয়ার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ সদস্যরা।
জানা যায়, দেউটি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পতিশ দিঘিটি অনেক পুরাতন জলমহল। সরকারি এই দিঘিটি আশপাশের বসবাসরত ৭৪ গৃহের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে হয় লিজ নেয়া হয়। প্রতিবছর লিজ বাবদ গৃহপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা তোলা করা হয়। এ ছাড়া জাল টানতেও প্রতি ঘর থেকে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা চাঁদা নেয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, উত্তোলন করা টাকা আত্মসাৎ করছেন ইজারা কমিটির দায়িত্বে থাকা সদস্যরা। অভিযুক্তরা ১৮ বছর থেকে কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন। দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকলেও ইজারা বাবদ অর্থ উত্তোলন, মাছ আহরণের খরচ, মাছ বিক্রয়, মাছ বিতরণের কোনো হিসাব দিচ্ছেন না। কোনো সদস্য এই বিষয়ে প্রশ্ন তুললে নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়। এ ছাড়া ৭৪ গৃহের সদস্যদের সমন্বয়ে ইজারা নেয়া হলেও অধিকাংশই এখন বঞ্চিত। অভিযুক্ত তিন সদস্যের একক সিদ্ধান্ত আর স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ সাধারণ সদস্যরা।
দিঘির পাড়ের বাসিন্দা নাজিম হোসেন দিঘি ইজারা কমিটির সদস্য। ২০২০ সাল থেকে তিনি ৫ হাজার টাকা করে বাৎসরিক চাঁদা দিচ্ছেন। দুই বছর আগে কমিটির উত্তোলন করা অর্থের হিসাব চাওয়ায় তিনি সদস্যপদ হারিয়েছেন। বঞ্চিত রয়েছেন দিঘির সকল সুবিধা থেকে।
দিঘির পাড়ের আরেক সদস্য ষাটোর্ধ্ব হারুন। তিনি জানান, গত ১৮ বছর থেকে দিঘি ইজারা দিচ্ছে সরকার। ৭৪ সদস্যের নামে লিজ নেয়া হলেও তা ভোগ করছে গুটি কয়েক পরিবার। সরকারি দিঘি যেন ব্যক্তি সম্পত্তি হয়ে গেছে। বর্তমান কমিটির আর্থিক অনিয়মের কথা বললেই দিঘির মাছের ভাগ বন্ধ হয়ে যায়। যখন তখন সদস্যপদ বাতিল হয়।
একই অভিযোগ দিঘির পাড়ের অধিকাংশ সদস্যের। তারা এই অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়ম থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেনের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হচ্ছে হয়নি।