আলমডাঙ্গার আনন্দধামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে গড়ে উঠেছে মিনি পতিতালয়, চলছে রমরমা ব্যবসা।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা আনন্দধাম রফিক মোল্লার বাড়িতে কলা বেচার আড়ালে প্রতিদিন যৌনকর্মীদের নিয়ে চলে দেহ ব্যবসা। স্থানীয়দের দাবি অতি শিগগিরই এগুলো বন্ধ না হলে ধ্বংস হবে যুবসমাজ, এতে ক্ষতি হচ্ছে এলাকার পরিবেশ।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়
এখানকার যৌনকর্মী বেশিরভাগই আলমডাঙ্গার বাহিরে স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ছেলে এবং প্রবাসীর বউ। এই সকল মানুষদের নিয়ে চলে তার নিত্যদিনের কার্যক্রম। শুধু তাই নয় কোন কাস্টমার তাকে ফোন দিলে মুহূর্তের মধ্যেই
টাকার বিনিময় যৌনকর্মীদের ম্যানেজ করে দিতে পারে আলমডাঙ্গা বাদুমাজি গ্রামের আমিরুলের স্ত্রী ফুলমতি, পতিতাদের ম্যানেজ করে নিজ বাড়িতে নিয়ে, চলে তার এইসব কার্যক্রম।
দীর্ঘদিন আলমডাঙ্গা ডাউকি ইউনিয়নের পোয়ামারি গ্রামের মৃত মনসুর মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লার বাড়ি ভাড়া নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এই ব্যবসা
এলাকাবাসী একাধিকবার প্রতিবাদ জানালেও কখনো ক্ষমতাশালীও রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে হয়রানি ভয় ভীতি দেখায়। আবার অনেক সময় অনেকেরই ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে।
কখনো নিজের পোষা গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আবার কখনো বিভিন্ন মানুষের নাম ভাঙিয়ে স্তব্ধ করে রাখতো প্রতিবেশীদের।
২৯ শে সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয়রা দুই যৌনকর্মীকে অবৈধ কাজ করার সময় দেখে ফেলে তাড়াহুড়া করে ধস্তাধস্তি করি বাড়ি ভারাইতে ফুলমতি ২জন পুরুষকে আত্মীয়র পরিচয় দিয়ে বাড়ির পিছন দরজা দে বের করে দেয়।
এছাড়াও দুই যৌনকর্মীকে স্থানীয়রা জিজ্ঞাসা করলে বাড়ি ভাড়াটিয়া ফুলমতি দুই মেয়েকে নিজের আপন মেয়ে হিসাবে পরিচয় দেয় একপর্যায়ে তাদের সাথে তর্ক বিতর্ক সৃষ্টি হলে
আলমডাঙ্গা থানা ও সাংবাদিকদের মুঠো ফোনের সংবাদ দেয় ওই সংবাদ শুনে ঘটনাস্থানে সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়
তখন ফুলমতি ও দুই যৌনকর্মী সত্য কথা বলে।
একজন যৌনকর্মী বলেন আমার বাড়ি গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া ও চুয়াডাঙ্গাতে ভাড়ায় থাকে বিভিন্ন জায়গায় পেটের দায় তিনি এই কাজ করেন। এবং আলমডাঙ্গা থেকে এক প্রবাসীর বউকে নিয়ে চলছে তাদের কার্যক্রম।
প্রথম পর্যায়ে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হলেও সময় মত সুর নরম করে হাতজোড় করে এবারের মত ক্ষমা প্রার্থনা করে। এদিকে তাদের কার্যকলাপ চলাকালী সময়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে অবহিত করলেও দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও কোন ফোর্স না পাঠালে স্থানীয় জনগণ এবং সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষমা চেয়ে
স্থান ত্যাগ করে যৌনকর্মীরা।
এদিকে পতিতার সর্দ্দার ফুলবানু বলেন আমার সংসার চালানোর জন্য আমি এইসব কার্যক্রম করি এখন থেকে আর করবো না। এবারের জন্য আমাকে মাফ করে দেন।
এ বিষয়ে বারেলার রফিক মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বাড়িতে দীর্ঘদিন ভাড়ায় নিয়ে তিনি এই ধরনের কাজ করেন আমি বলতে গেলে আমার উপরে চড়া হয় আমি তাকে বলেছি বাড়ি ছেড়ে দিতে কিন্তু সে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমার বাড়ি এখনো ছাড়ে নাই
এ নিয়ে এলাকাবাসী এবং সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি আমাদের সমাজে যদি দেহ ব্যবসার মতো কার্যকলাপ প্রতিনিয়ত হতে থাকে এবং এর প্রতিবাদ না হয় তাহলে এমন একটি দিন আসবে যা থেকে উত্তরণ করা সমাজের জন্য খুবই কঠিন হয়ে যাবে। একটা ফুলবাগান নষ্ট করার জন্য একটি হুতুমপ্যাঁচায় যথেষ্ট।