লোহাগড়ায় হিন্দু নারীর সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় স্থানীয়দের হাতে আটক জিরু আলী,অতঃপর পলাতক, বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেন পৌর কমিশনার বিশ্বনাথ দাস ভুন্ডুল।
মোঃ আজিজুর বিশ্বাস
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড, জয়পুর নতুনপাড়া গ্ৰামের সৈয়দ গেন্দু আলীর ছেলে সৈয়দ জিরু আলী (৬০) বৃহস্পতিবার সকালে এক ই গ্ৰামের মৃত্যু সুখ বিশ্বাস এর স্ত্রী ( ৫০) নামের এক হিন্দু মহিলা কে টাকার বিনিময়ে নিয়ে আসে সৈয়দ জিরু আলীর নির্জন ফাকা বাড়িতে।
এসময় স্থানীয় লোকজনরা টের পেয়ে তাদেরকে হাতে নাতে আটক করে,
এরপরে জিরু আলীর ছোট ভাইয়ের সহযোগিতায় সে পালিয়ে যায়,
এবং স্থানীয়রা উর্মিলা বিশ্বাস কে আটকিয়ে রাখলে সেখানে হাজির হয় পৌর কমিশনার বিশ্বনাথ দাস (ভুন্ডুল) তিনি তার লোকজন নিয়ে মহিলা কে সু কৌশলে ওখান থেকে নিয়ে আসে তার হেফাজতে।
এবং সৈয়দ জিরু আলীর দায়িত্ব দেন এলাকার আনিস ফকির কে এবং তিনি বলেন ২ জনের বিচার কার্যক্রম সন্ধ্যায় হবে।
এ ঘটনায় এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়, এবং কমিশনারের উপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
এবং স্থানীয়রা ওই নারীর একটি ভিডিও ধারণ করেন সেখানেও নারী স্বীকার করেছেন জিরু তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনেছেন টাকার বিনিময়ে।
উক্ত বিষয় নিয়ে কমিশনার বিশ্বনাথ দাস ভুন্ডুলের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ওখানে যায় নাই, আমি কিছু জানি না, কিন্তু পরবর্তীতে একটি ভিডিও তে দেখা যায় ঘটনা স্থানে গিয়ে তিনি ওই মহিলা কে তার হেফাজতে নিয়ে আসে এবং সন্ধ্যায় বিচার দিবে বলে স্থানীয় জনগণদের বলে আসে।
ঘটনাটি বিশ্বনাথ দাস ভুন্ডুল সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় কয়েকজন স্থানীয় নারী পুরুষ জানান কমিশনার এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা করেছে।
এবং ওই নারী-পুরুষ কে আগেও কয়েকবার এলাকার মানুষের কাছে আটক করেছে।
এরপর স্থানীয় লোকজনরা সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলাই আনিস ফকির সেখানে উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন এবং বলেন যাতে সমাজে এমন ঘটনা যেন না ঘটে।
এবিষয়ে জিরুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায় নাই
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লোহাগড়া থানা পুলিশের এসআই মাকফুর ও সঙ্গীয় ফোর্স দিয়ে তাদের কাউকে পান নাই বলে জানান।