ব্রীজ ও রাস্তা ভাঙনে দিশেহারা এলাকাবাসী
সুনামগঞ্জে দোয়ারায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ উষারগাঁও ব্রীজ ও রাস্তার যান চলাচল চরম দুর্ভোগ ঘটেছে। সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারার কপলা ও উষাইরগাঁও মধ্যস্থ ব্রীজের গাড়ি চলাচলের ঝুঁকি পূর্ণ অবস্থা এবং ব্রীজের মেইন বেইছগুলোর চতুর্থদিকে রডের রিং সরিয়ে গেছে । ছাতক উপজেলা কপলা গ্রাম থেকে শুরু করে দোয়ারাবাজার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের রাস্তাটির বেহাল দশার কারনে পান্ডারগাঁও ইউপি এলাকার প্রত্যেকটা গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ছাতক পশ্চিমাঞ্চলের অবস্থানরত কপলা থেকে শুরু হয়ে শ্রীপুর বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এ রাস্তাটি পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজার থেকে -জলসী, কপলা হয়ে বড়কাপন পয়েন্টের কাছে সিলেট- সুনামগঞ্জ সড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। বন্যায় এ রাস্তার কপলা পূর্বদিকে ও – উষাইরগাওঁ,জলসী, গ্রাম এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার এই অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। স্থানে- স্থানে পিচঢালা উঠে গেছে। মাটি সরে গিয়ে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে বড়- বড় গর্তের। বড়কাপন পয়েন্ট থেকে শ্রীপুর বাজার পর্যন্ত সি এন জি চালিত অটোরিকশা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এরপর লোকজনকে পায়ে হেটেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই এলাকায় যাতায়াতের আর কোন বিকল্প রাস্তা না থাকায় এ ভাবেই বন্যা পরবর্তী সময় ধরে এলাকার লোকজন যাতায়াত করে যাচ্ছেন। স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও কিছু রাস্তা পায়ে হেটে আর কিছু রাস্তা সিএনজি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে লেখাপড়া করছেন। সাবেক ইউপি সদস্যবৃন্দ ও অত্র এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, এক যুগ ধরে রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। এরপর এলাকার লোকজনের উদ্যোগে রাস্তটি সাময়িক সংস্কার করা হলে অনেক দিন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করেছে। ১৫ জুন ২২ সালের বন্যায় রাস্তটি লন্ড-বন্ড হয়ে গেছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছেন,শ্রীপুর, কৃষ্ণনগর,মাঝ ইলাম, কান্দের ইলাম,জলসী,নলুয়া,উষাইরগাওঁ, কপলা তেমুখী পয়েন্ট, কপলা গ্রামের মানুষ। হাজার- হাজার লোকের যাতায়াতের ভরসাস্থল কপলা -শ্রীপুর রাস্তাটি জরুরি সংস্কারের প্রয়োজন এমন দাবি করেছেন এলাকাবাসী । ইউপি চেয়ারম্যান জানান,রাস্তার বরাদ্দ না থাকায় রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ে রয়েছে। জনস্বার্থে দ্রুত এ রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজন। গত ১২ ডিসেম্বর ২২ ইং নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় উক্ত রাস্তার অবস্থা তুলে ধরেন সাংবাদিক তাজিদুল ইসলাম, তার কথার পরিপেক্ষিতে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম বলেন রাস্তাটি বিস্তারিত দেখে একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী রাস্তাটি তিনি পরিদর্শন করে বরাদ্দ পেলেই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ও কাজের কোনো উর্ধতন নেই। এই ভাবে ছাতক দোয়ারা অনেক জায়গায় রাস্তা ঘাট,ব্রীজের বেহাল দশা।