লক্ষ্মী নারায়ণ বৈষ্ণবের বাড়িটিই দালাল বাজার জমিদার বাড়ি হিসাবে সুপরিচিত
মুকিতুর রহমান:- লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের দালাল বাজার ইউনিয়নে অবস্থিত জমিদার লক্ষ্মী নারায়ণ বৈষ্ণবের বাড়িটিই দালাল বাজার জমিদার বাড়ি হিসাবে সুপরিচিত। বর্তমানে ভূমি অফিস হিসাবে জমিদার বাড়িটি ব্যবহৃত হলেও বাড়ির স্থাপনায় তৎকালীন ঐতিহ্যের ছাপ স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়।
প্রায় ৫ একর আয়লাল বাজার জমিদার বাড়ীর সম্মুখে রয়েছে একটি রাজকীয় প্রবেশ তোরণ। আর জমিদার বাড়িতে স্থান পেয়েছে জমিদার প্রাসাদ, রাজপ্রাসাদ, অন্দর মহল, শান বাঁধানো ঘাট, নাট মন্দির, পুজা মন্ডপ, লোহার সিন্দুক ইত্যাদি।
ইতিহাস:- জানা যায় আজ থেকে প্রায় চারশত বছর পূর্বে জমিদার লক্ষ্মী নারায়ন বৈষ্ণব কলকাতা থেকে লক্ষ্মীপুর আসেন। জমিদার লক্ষ্মী নারায়ন বৈষ্ণববের পরবর্তী উত্তরসরীরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বাণিজ্যিক এজেন্সী এবং জমিদারী লাভ করেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বাণিজ্যিক এজেন্ট হওয়ায় পর থেকে স্থানীয় মানুষদের কাছে লক্ষ্মী নারায়ন বৈষ্ণবের উত্তরসরীগণ ‘দালাল’ বলে আখ্যায়িত হতে থাকেন। ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জমিদারগণ দেশ ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেলে জমিদার বাড়ীটি পরিত্যাক্ত থেকে যায়।
কিভাবে যাবেন:- রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে গ্রীনল্যান্ড এক্সপ্রেস, আলবারাকা, আলম, রয়েল, ইকোনো এবং ঢাকা এক্সপ্রেস সহ বেশ কিছু পরিবহণের বাস লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। সায়েদাবাদ থেকে লক্ষ্মীপুর যেতে ৪/৫ ঘন্টা সময় লাগে। ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর যেতে বাসভেদে জনপ্রতি ভাড়া লাগে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা।
লক্ষ্মীপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি ভাড়া করে দালাল বাজার জমিদার বাড়িতে যেতে ১০ টাকা ভাড়া লাগে।
কোথায় থাকবেন:- লক্ষ্মীপুরে বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। চাইলে সোনার বাংলা গেস্ট হাউজ, হোটেল আবেহায়াত, হোটেল রোজ কিংবা স্টার গেস্ট হাউজে রাত্রিযাপন করতে পারেন।
কোথায় খাবেন:- লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন মানের হোটেল, ফাস্টফুড শপ এবং চাইনিজ রেস্টুরেন্ট রয়েছে। খাবার খেতে যেতে পারেন হোটেল রাজমহল, কুটুম বাড়ি, আব্বাস আলী রেস্টুরেন্ট, মোহাম্মদীয়া হোটেল অথবা ফুড গার্ডেন রেস্টুরেন্টে।