সিরাজগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে পার হলেও মৌখিকে ধরা পড়ে ৭ পরীক্ষার্থী কারাগারে
মোঃ আশিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে পার হলেও মৌখিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে ৭ পরীক্ষার্থী।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসলে তাদের আটক করা হয়। পরে ৭ জন পরীক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করে কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত (২৩ সেপ্টেম্বর) তাদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এঘটনায় নিয়োগ কমিটির (সদস্য-সচিব) সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট শিমুল আক্তার বাদী হয়ে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
আটককৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ফিরোজ উদ্দিন, তাড়াশ উপজেলার নিমগাছীর বিষমডাঙ্গা গ্রামের আবু তাহের সরকারের ছেলে লোকমান হোসেন, কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে রাশিদুল ইসলাম সুজন, শাহজাদপুর উপজেলার মুরুটিয়া গ্রামের এলাহী প্রামানিকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, উল্লাপাড়া উপজেলার বাখুয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মজিবর রহমান, কামারখন্দ উপজেলার চর-দোগাছি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে হাবিবুল্লা বেলালী ও উল্লাপাড়া উপজেলার গোয়ালজানী পূর্বপাড়া গ্রামের হেনা মন্ডলের ছেলে এনামুল হক।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), অফিস কক্ষে নিয়োগ বাছাই কমিটির মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষা হয়। আসামীদের কাগজপত্র যাচাই বাছাই এর সময় তাদের হাতের লেখার সাথে লিখিত পরীক্ষার মিল পাওয়া যায়নি। পরীক্ষার্থীরা স্বীকার করে তাদের লিখিত পরীক্ষায় অন্যদের দ্বারা পরীক্ষার উত্তরপত্র লিখিয়েছেন। পুলিশে খবর দেওয়া হলে ৭ ওই পরীক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ । তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, এই নিয়োগ শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন হলো। প্রক্সি নিয়েও ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হলো। এই ৭ জনের লিখিত পরীক্ষা যে দিয়েছিল তাদের সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।