মুজিব বর্ষের ঘর বরাদ্দে অনিয়ম , বঞ্চিত প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ।
বিশেষ প্রতিনিধি সোহেল:
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে “ আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার ” শ্লোগান নিয়ে দেশের ভুমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান কার্যক্রমে পটুয়াখালীর বাউফলে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বঞ্চিত করে অর্থের বিনিময়ে ১৫ টি সচ্ছল পরিবারকে মুজিব বর্ষের চতুর্থ ধাপের ঘর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ঐ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সুবিধা বঞ্চিত ৫ জন বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগে তারা জানান উপজেলার পূর্ব কাছিপাড়া ইউনিয়নের বাজারের দক্ষিণ পাশে গত ২৩ আগষ্ট ২১ টি ঘর হস্তান্তর করা হয়।তবে এর মধ্যে ১৫ টি ঘরের মালিক সচ্ছল ও তাদের জমি এবং বাড়ি রয়েছে। টাকার জন্য ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী মোল্লা তথ্য গোপন করে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন দের বঞ্চিত করেছেন ।
অভিযোগকারী মো. কবির কারিগর বলেন,‘ মুজিব বর্ষের ঘর বিতরণে মেম্বার অনিয়ম করছে এ ঘটনা সত্য এবং এ জন্য আমি মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগে স্বাক্ষর দিছি তিনি আমাকে আমার বাসার সামনে বসে মারধর করেছে এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে আমি এ ঘটনার জন্য ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।’
কাছিপাড়া ইউনিয়নের চর রঘুনদ্দি গ্রামের বাসিন্দা বকুলি বেগম বলেন আমার কিচ্ছু নাই। ভিটা, বাড়ি সব নদীতে লইয়া গেছে হেরপর ও আমি ঘর পাই নাই। জাগো ঘর আছে হেগোই সরকারে ঘর দেছে। মেম্বার এ ১০ হাজার টাহা চাইছে, টাহা দেলে ঘর দেবে। কিন্তু টাহাও দেতে পারি নাই ঘর ও দেয় নাই।’
এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা জি এম মাহবুবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার ১৫ জনের মধ্যে ৫ ঘরের বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা এবং এর সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী মোল্লা বলেন, ঘর দেওয়ার আমি কে? আমি কাউকে মারধর করিনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পুর্ন মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি এবং সাথে সাথেই তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি।তদন্ত রিপোর্টে সত্যতা পেলে সংশোধন করা হবে যেহেতু এখানো সংশোধনের সুযোগ আছে।