ছাতকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
ছাতকে সমতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি লুটপাট, অতিরিক্ত ফি আদায়সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের পাশাপাশি তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। এ জন্য এলাকায় তার প্রভাব রয়েছে। জানা যায়, অফিস সহকারীর নামে ভুয়া বেতন-ভাতা অধ্যক্ষ নিজেই প্রস্তুত করে স্বাক্ষর দিয়ে উত্তোলন করেন। পরবর্তী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অভিযোগ উঠেছে, ২০১৮ সালে তিনি যোগদানের পর প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসাব দিচ্ছেন না। লিখিত একটি অভিযোগ থেকে জানা যায়, অফিস সহকারী মনিরুল ইসলাস মুন্না ছুটি না নিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে চাকুরির তথ্য গোপন করে ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমায়। এই সুযোগে তার মাসিক বেতন-ভাতা অধ্যক্ষ নিজেই স্বাক্ষর দিয়ে উত্তোলন করেন। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন সাতগাঁও গ্রামের আবুল কালাম আজাদ। বুধবার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষে আওলাদ মিয়া বাদী হয়ে নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়া সরকারি প্রকল্পের কাজ না করে আইনাকান্দি কামারগাঁও-সুদুখালি রাস্তা মেরামতের নামে ২ লাখ, বেড়িবাঁধের কাজ না করে ৩ লাখ, সমতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাস্তা উন্নয়নের নামে আরও ২ লাখ টাকা পিআইও এবং অধ্যক্ষ মিলে ভাগবাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করারও অভিযোগ স্থানীয়দের। অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন জানান, মিজান হত্যার মামলায় তিনি এক মাস ৬ দিন কারাগারে ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী মনিরুল ইসলাস মুন্নার বেতন-ভাতার ১ লাখ ২৮ হাজার ৬১৩ টাকা তিনি উত্তোলন করেন। সম্প্রতি বেতন-ভাতার টাকা চালানের মাধ্যমে সরকারি ফান্ডে জমা দিয়েছেন।