খাগড়াছড়িতে স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
খাগড়াছড়িতে স্বামী উজ্জ্বল মারমা’র অমানসিক নির্যাতন, প্রাণনাশের হুমকি, বাবার পৈতৃক সম্পত্তি স্বামীর নামে করে দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে খেমারী মারমা (নির্যাতিতা স্ত্রী) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যাতিতা স্ত্রী খেমারী মারমা। তিনি সংবাদ সম্মলনে বলেন, উজ্জ্বল মারমা ১২ এপ্রিল ২০২২ সালে নিজের “ট্রাডিশন রেস্টুরেন্ট” নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে “আইনের আশ্রয় নিব” বললে পরবর্তীতে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক স্থানে একাধিকবার ধর্ষণ করে স্বামী উজ্জ্বল মারমা। একসময় খেমারি গর্ভধারণ করলে জোরপূর্বক হাসপাতালে নিয়ে বাচ্চা নষ্ট করান উজ্জ্বল। চলতি বছরে জানুয়ারিতে হলফনামার মাধ্যমে বিবাহ করে উজ্জ্বল । বিবাহের কিছুদিন পর স্বামী উজ্জ্বল মারমা আচার-আচারণ বদলে যায়। উজ্জ্বল মারমা (স্বামী) ৩ জুলাই ২০২৩ নেশা করে দল বল নিয়ে খেমারীর বাবার বাড়িতে ভাংচুর করে ও গায়ে হাত তুলে। নির্যাতনের সময় সে বলে “আমার ব্যবসা বাণিজ্য এবং রেস্টুরেন্টে অনেক টাকা-পয়সার প্রয়োজন বলে তোমার বাবার জায়গা-জমি বিক্রি করে টাকা পয়সা নিয়ে আমাকে দাও”। এসময় পরিবারের সকলে উপস্থিত ছিলেন।
খেমারি আরো বলেন, এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে নারী ও নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলা ধীরগতি হওয়ায় স্বামী উজ্জ্বল মারমা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণনাশের হুমকি এবং তার পালিত দলবল পাঠিয়ে নির্যাতন করতে শুরু করে। বর্তমানে পরিবারের সকলে অনিরাপত্তায় ভোগছেন বলে জানান এবং এজন্য জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর সার্বিক সহযোগিতা চান খেমারি।