বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ব্যালটের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে জয়ী করতে হবে
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব এ্যাড. আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সরকার অনেক কষ্ট করে উন্নয়ন করছে। আগেও তো সরকার ছিল। তারা বিগত দিনে কি কি কাজ করেছে? আর এখন এ সরকার কি কি উন্নয়ন করেছে? নিশ্চয় আপনারা বুঝতে পারেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করেন। তাদের কথা চিন্তা করে কাজ করেন বলেই আজতে মানুষ উন্নয়নের ছুয়া পেয়েছেন। আগামী দিনেও যাতে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারা (যেটা চলমান আছে), চলমান থাকে। সেজন্য আগামী দিনে যদি আপনারা আবার ব্যালটের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচিত করেন, তাহলে যে সমস্ত অসমাপ্ত কাজ বাকী আছে, সে কাজগুলো করে, এই দেশটাকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পারবেন।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা চত্তরে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন মেলার সমাপনি ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে তিনদিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলার সমাপনি অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুরাদ কবীর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদা নাসরিন, মৌচাক ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা প্রকৌশলী বিপ্লব পাল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নাসরিন আরা পোষন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও স্থানীয় লোকজন।তিনি আরো বলেন, আজকের সফল রাষ্ট্র নায়ক দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের গণমানুষের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য, জনগণের জন্য কি কি কাজ করেছেন, তার আংশিক চিত্র উপজেলার উন্নয়ন মেলায় তুলে ধরা হয়েছে। আপনারা জানতে পারবেন আমাদের ইউনিয়ন পরিষদগুলো কি ধরণের সেবা দিচ্ছে? বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ নানা ধরণের ভাতা, কতগুলো রাস্তা, কতগুলো প্রজেক্ট? প্রত্যেকটা ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদেও কি পরিমান উন্নয়ন কাজ হয়েছে? সেগুলো চিত্র ব্যানার ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে উন্নয়ন মেলায় তুলে ধরা হয়েছে। উপজেলা স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর যে উন্নয়ন করেছে, তার সমস্ত কিছু এ উন্নয়ন মেলায় দেখা যায়। যার যার ইউনিয়নের উন্নয়ন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সেট করবেন যেন মানুষ উন্নয়ন গুলো দেখতে পারে।উপস্থিতিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, সরকার টাকা খরচ করে বাড়ি বাড়ি পানি সাপ্লাই দিচ্ছেন। অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা বা দাবী, তাদের সাবমারসিবল পাম্প আমাকে দিতে হবে। আসলে আমরা পাম্প দেওয়ার কথা কোনদিন বলি নাই, এখনো বলি না, এটা আমি কখনো উচ্চারণ করি নাই। আমরা বলছি, সাপ্লাই ওয়াটার দিবো। এটা সম্ভবও নয়। আর বাড়ি বাড়ি সাবমারসিবল বসালে পানির লিয়ারও থাকবে না। নিয়ম হচ্ছে অন্তত পক্ষে ৩০০ মিটার দুরে দুরে এটা বসানোর কথা। তবে প্রত্যেকটা বাড়িতে সাপ্লাই ওয়াটার পাবেন। এই মাসের মধ্যেই প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি সাপ্লাই ওয়াটার নিশ্চিত করতে চাই। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সাপ্লাই ওয়াটার বাড়ি বাড়ি পৌছাতে হবে। যদি না পৌছে, তাহলে আমাদের জানাবেন।তিনি বলেন, এই যে সরকার উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্প করেছে,নিয়ম হচ্ছে, সে প্রকল্প গুলোর কত টাকা বরাদ্ধ, সেটা কোথা থেকে কোথায় যাবে? সে ধরণের সাইনবোর্ড বাধ্যতামুলক। কিন্তু বর্তমানে এগুলো অনেকটা উঠে গেছে। এটা খুব একটা দেখা যায় না। প্রত্যেকটা প্রকল্পের এই ধরণের সাইনবোর্ড যেন থাকে। এই ধরণের সাইনবোর্ড থাকলে মানুষ উন্নয়ন বিষয়ে জানতে পারে।আলোচনা শেষে ৩দিন ব্যাপী চলমান উন্নয়ন মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।