বরিশালে ইলেকট্রিক মোটর চালিত রিক্সার ছড়াছড়ি, প্রতিনিয়ত বাড়ছে দূর্ঘটনা
এম কে কামরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি
বরিশাল নগরীতে মর্টার চালিত অবৈধ রিক্সার ছড়াছড়ি। একদিকে যেমন বেপরোয়া গতিতে চলতে গিয়ে ঘটাচ্ছে দূর্ঘটনা। অন্যদিকে টিট টিট হর্ণের তীব্র শব্দ যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জনসাধারণ।এই রিক্সাগুলোর কারণে নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাংবাদিক,পুলিশ, চিকিৎসক,আইনজীবী,শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
আতিকুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন,,প্রতিদিন গড়ে নতুন ১০-১৫ টি রিক্সা নামানো হচ্ছে সড়কে। সবাই হয়তো মনে করে গরীব মানুষ রিক্সা চালায় এখানেও বিপত্তি। আসলে বিষয়টা সেখানে না। কোন চালকের রিক্সা নিজের না সবাই ভাড়া চালায়। মূলত ব্যটারি চালিত অটোরিকশা হাত পা নেই বিকলাঙ্গ মানুষের জন্য তৈরি করা হলেও এটি এখন মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যার ফল দূর্ঘটনার স্বীকার।নগরবাসীর এমন অভিযোগের পর অনুসন্ধানে জানা গেছে বরিশালে চলাচল করা বেশির ভাগ রিক্সার মালিক টাকা ওয়ালা অথবা প্রভাবশালী কোন ব্যক্তি। অবৈধ এই যানগুলোর কারণে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে নিরীহ মানুষ।অন্য এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, কাকলীর মোড় থেকে জেলখানা মোড়ে মর্টার চালিত রিক্সা গেলে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। পরের দিন জরিমানা নিয়ে আবার ছেড়ে দেয়। তাতে রিক্সার পরিমাণে কমে ? কমে না বরং দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।তিনি আরও বলেন,, বেপরোয়া গতিতে চলার পর দূর্ঘটনা ঘটায় এরপর আহত ব্যক্তির পা ধরে বলে মাফ করেন ভাই গরীব মানুষ। যখন বেপরোয়া গতিতে চলে তখন মনে থাকে না যে সে গরীব মানুষ। তখন তো মনে হয় রিক্সা নয় যেন আকাশে প্লেন চালায়। আমরা নগরবাসী মর্টার চালিত এই রিক্সাগুলো বন্ধে শুধু আশ্বাস নয় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চাই।এ বিষয় ডিসি ট্রাফিক বিএমপি ( উপ-পুলিশ কমিশনার ) এসএম তানভীর আরাফাত বলেন,, আমাদের ডামপিং করে রাখার নিজস্ব কোন জায়গা নাই, রিক্সা আটক করে রাখবো কোথায়। জায়গা চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আমরা ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছি। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও অবৈধ এই রিক্সা নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ টি রিক্সা আটক করা হচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের এই ধরা অব্যাহত রেখে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।