পেটের দায়ে ভিক্ষা করছেন মুক্তিযোদ্ধা।
গোলাম রাব্বি সবুজ- ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি।
এক সময় দেশের হয়ে দাপিয়ে যুদ্ধ করেছেন, আর এখন কিনা পেটের দায়ে ভিক্ষা করতে হচ্ছে, হ্যাঁ অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি,অভাবের তারনায় ভিক্ষাবৃত্তির পেশা বেছে নিয়েছেন ঢাকার ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া আদর্শ গ্রামের মতিয়ার রহমান, তার দাবি দেশের ক্লান্তি লগনে আমি বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম, ভেবেছিলাম দেশটা স্বাধীন হলে হয়তো দু-বেলা ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবো কিন্তু এখন আর পারছিনা ছেলে সন্তান না থাকার কারণে আবার বয়সের কারণেও কোন কাজ-ই করতে পারছি না তাই সর্বশেষ ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিয়েছি,এখন প্রতিদিন সকালে ভিক্ষার উদ্দেশ্যে বের হই, সাড়া দিনে যা পাই তা দিয়ে টেনে পুড়ে চেষ্টা করছি বেঁচে থাকার জন্য,
আমি মুক্তি যোদ্ধা হলেও এখনো কোন স্বীকৃতি পাইনি ওই সময়কার কোন কাগজপত্র আমার কাছে নেই যার কারণে সরকারি সেবা থেকে আমি বঞ্চিত, শেষ বয়সে যদি আমাকে সরকারি কোন ফান্ড বা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে কোন সহায়তা বা সুযোগ সুবিধা দিত তাহলে হয়তো শেষ বয়সে এসে আমাকে ভিক্ষা করতে হতো না, তার দাবি তিনি ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও সহ আশেপাশে এলাকায় যুদ্ধ করেন, এলাকাবাসীর দাবি তিনি যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন তাহলে সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে তাকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি সকল সুযোগ সুবিদা যেন তাকে দেওয়া হয়।