বাবুর্চিকে কমিশন দিলেই পাম ওয়েল হয়ে যায় এক নম্বর ঘি!পটিয়া ভেজাল ঘি’তে সয়লাব
মোঃ হাসানুর জামান বাবু, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : ঘি, দুধ ছাড়া যা তৈরি করা সম্ভব নয়। বর্তমান বাজারে রসনার অন্যতম খাদ্যদ্রব্য তৈরি হচ্ছে দুধ ছাড়াই। হাল সময়ে ভেজিটেবল ঘি নামের একটি রসনা উপকরণ বাজারে আসলেও তা ভেজালে ভরা। মুলত পামওয়েল,পচা কলা, সয়াবিন, রং ও ঘি এর থ্রি ফ্লেভার মিশ্রিত করে তৈরি করা হচ্ছে ভেজিটেবল ঘি। আর বাবুর্চিকে কমিশন দিলেই এসব রং মিশ্রিত পামওয়েল ঘি হয়ে যায় এক নম্বর ঘি।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থাগুলো এসব ভেজাল ঘি এর বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা না নেয়ায় পার পেয়ে যাচ্ছে ভেজাল ঘি উৎপাদন ও বিক্রির সাথে জড়িতরা। উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এখন ভেজাল ঘি’তে সয়লাব। খাঁটি ঘি’য়ের তুলনায় ভেজাল ঘি’তে লাভ কয়েকগুন বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের গছিয়ে দিচ্ছেন ক্ষতিকারক এসব ঘি। ফলে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার প্রায় সব হাটবাজার এখন ভেজাল ঘি’তে ছেয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা লাভের প্রবত্তি ও লোভকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি লোকচক্ষু আড়ালে মোটর সাইকেলে বা রিক্সায় করে অল্প অল্প করে সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছে বা দিচ্ছে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব ঘি। আর বাজারে খাঁটি ঘি না পেয়ে বাধ্য হয়ে অনেকেই এ ভেজাল ঘি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ি। তা দিয়ে ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে নানান মুখরোচক খাবার। যা খেয়ে ধীরে ধীরে দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অধিকাংশ মানুষ জানতেও পারেন না যে, বাজার থেকে কিনে আনা এই ঘি’তে থাকা ভেজালের কারণে তিনি সুস্থ শরীর হারিয়ে অসুস্থ রোগীতে পরিণত হচ্ছেন।
এদিকে সাধারণ ক্রেতারা জানান, বাজারে এখন অসংখ্য ব্র্যান্ডের ঘি পাওয়া যাচ্ছে। এসব ঘি’য়ের মধ্যে কোনটি খাঁটি-কোনট