চট্টগ্রামে ওষুধ বাণিজ্যে সীমাহীন নৈরাজ্যে রোগীরা জিম্মি।
মোঃ হাসানুর জামান বাবু প্রতিনিধি
চট্টগ্রামে ওষুধ বাণিজ্যে সীমাহীন নৈরাজ্যে রোগীরা জিম্মি। দিন দিন নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ এবং ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। কিন্তু ওষুধ বাণিজ্যের নৈরাজ্য রোধে ক্রেতা সচেতনতার কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় ওষুধে সয়লাব চট্টগ্রামের বাজার। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত টাকা খরচ করেও কাক্সিক্ষত সুফল পাচ্ছে না। বরং ভেজাল ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ, বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান এবং দেশের বাজারে ৯৭ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ওষুধশিল্প নিজ দেশেই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। ওষুধের উপাদান এবং কার্যকারিতা নিয়ে কোনো প্রচার না থাকায় ক্রেতারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন ওষুধের বদলে নিম্নমানের ও নকল ওষুধ কিনে প্রতারিত হচ্ছে। নিয়ম-নীতির ফাঁক গলে বাজারে ঢুকে পড়ছে নিম্নমানের ভেজাল ওষুধ। রাজধানীর মিটফোর্ডের ওষুধ মার্কেটের একটি চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মানহীন ওষুধ। আর জাতীয় ওষুধ নীতির বাধ্যবাধকতার কারণে ওষুধ কোম্পানিগুলোও তাদের ওষুধ সম্পর্কে ক্রেতাদের জানাতে পারে না। ফলে কোম্পানিগুলো বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে ডাক্তারদের প্রভাবিত করে ব্যবস্থাপত্রে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লেখাচ্ছে।
সূত্র জানায়, সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো দেশের বৃহত্তম পাইকারি ওষুধের বাজার ঢাকার মিটফোর্ডে ভেজাল, নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধে মাঝে-মাঝেই অভি�