দৈনিক ২ হাজার টাকা আয় কচুরিপানা সংগ্রহ করে
সোহেল রানা, শ্রীপুর
দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কৃষিকাজ, ধান কাটা ও মাটি কাটা শ্রমিকের কাজ করতেন রফিকুল ইসলাম (৩৮)। হাতে কাজ না থাকলে বেকার বসে থাকতেন। এক যুগ আগে স্থানীয় এক মাছের খামারি দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে তাঁকে ক্ষুদ্র কচুরিপানা সংগ্রহের কাজ দিয়েছিলেন। তিনি জানতে পারেন, কচুরিপানা মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য। এর পর থেকে কচুরিপানা সংগ্রহ করে বিভিন্ন মাছের খামারে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন রফিকুল ইসলাম।
মো. রফিকুল ইসলামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামে। ১২ বছর ধরে কচুরিপানা সংগ্রহ করে মাছের খামারে বিক্রি করছেন তিনি। প্রতি বস্তা কচুরিপানা তিনি ৫০ টাকা করে বিক্রি করেন। যানবাহনের ভাড়া ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে এতে তাঁর দৈনিক আয় ২০০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা।
শ্রীপুর পৌর শহরের ফালু মার্কেট এলাকার একটি নিচু জলাশয়ে গত সোমবার সকালে ক্ষুদ্র কচুরিপানা সংগ্রহ করছিলেন রফিকুল। কলাগাছের শুকনা পাতার মাঝের শক্ত অংশ একটির সঙ্গে আরেকটি বেঁধে লম্বা দড়ির মতো বানিয়েছেন। সেটি পানির বেশ কিছু জায়গাজুড়ে ভাসিয়ে দেন। এরপর দুই প্রান্ত ধরে ভাসমান ক্ষুদ্র কচুরিপানাগুলো পায়ের কাছাকাছি এনে আটকে রাখেন। মাছ ধরার ঠেলা জাল দিয়ে আটকে রাখা অংশ থেকে ক্ষুদ্র কচুরিপানাগুলো তুলে বস্তাবন্দী করেন তিনি।
শ্রীপুর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা ওয়াহিদুল আবরার বলেছেন, ক্ষুদ্র কচুরিপানা কার্পজাতীয় মাছের খাবার। এই খাবারগুলো খামারের মাছের বৃদ্ধি ও শারীরিক সুস্থতার জন্য সহায়ক। কচুরিপানা সংগ্রহ করে আয়ের বিষয়টি উৎসাহব্যঞ্জক।