বন মালির দাপটে কোণঠাসা বনবিট অফিসে কর্মরত সকলেই,উজার হচ্ছে বন।
Spread the love

বন মালির দাপটে কোণঠাসা বনবিট অফিসে কর্মরত সকলেই,উজার হচ্ছে বন।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক বনমালির দাপটে কোণঠাসায় একটি বন অফিসে (বনবিট) কর্মরত অন্যরাও। সাবেক উধ্বর্তন কর্মকর্তার পরিচয়ে একাই তিন বন অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই মালি। তার বনভুমি বাণিজ্যের কবলে পড়ে অতিষ্ট স্থানীয় সাধারন মানুষও। ফলে উজার হয়ে যাচ্ছে বন ও ভুমি। সাবেক এক উধ্বর্তন কর্মকর্তার আত্মিয়ের পরিচয়ে এমন অপকর্ম করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত ওই বন মালির নাম হাসেম আলী। তিনি কালিয়াকৈর রেঞ্জের আওতাধীন গাজীপুরের কড্ডা বন অফিসে দায়িত্বরত আছেন।
এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও ও বন অফিস সুত্রে জানা গেছে, সাবেক এক উধ্বর্তন বন কর্মকর্তা (সিসিএফ) আত্মিয়ের পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন বনমালি হাসেম। তার দাপটে কোণঠাসায় রয়েছে কালিয়াকৈর রেঞ্জের আওতাধীন রঘুনাথপুর বন অফিসে কর্মরত অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। স্থানীয়দের অভিযোগ, বনমালি হাসেমের নেতৃত্বে ওই বন অফিসের সোনাতলা ক্যাম্পের আশপাশে বনের জমি জবর-দখল করছে ভুমিদুস্যরা। পারভেজ মিয়ার একটি মৎস্য খামার, বন বিভাগ কর্তৃক সৃজিত বাগান কেটে ফিরোজ মিয়ার ধান চাষ ও মৎস্য খামার, সোনাতলা বাজারে কয়েকটি দোকান, হোসেন মার্কেট বাজারে দোকান নির্মাণ, হুনাবাড়ি এলাকায় আবুল কাশেমের মৎস্য খামার, ফকির মার্কেট এলাকায় সৃজিত সুফল বাগান কেটে রঙ্গিন টিনের ঘর, আলাল উদ্দিনের ঘর, বঙ্গবাজার এলাকায় লেহাজ উদ্দিনের ঘর, হাসেমের বাগানের ২০টি গাছ কেটে দুইটি খামার একত্রিত করণ, বনের জমি ভরাটসহ নানা স্থাপনা গড়ে উঠেছে। আর এ সুযোগে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বন মালি হাসেম। তার অর্থ বাণিজ্যের কবলে পড়ে এভাবে বেদখল হচ্ছে বনের জমি ও উজাড় হচ্ছে বন। এতে পরিবেশ ও প্রাণীকুলের বিপর্যয় ঘটছে। এছাড়াও তাকে টাকা না দিয়ে বাড়ির পুরাতন টিন পর্যন্তও বদলানো যায় না বলেও অনেকের অভিযোগ। আবার তাকে টাকা দিয়ে কাজ না হওয়ায় ওই ঘুষের টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় স্থানীয় মাতাব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অনেকে। ওই মালি বন অফিসের কারো কথা শুনেন না। কেউ তার কাজে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে চাকুরী খাওয়ার হুমকিও দেন মালি হাসেম। তবে এমন দুর্নীতিগ্রস্থ মালির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মানুষ আমাদের দুচারটা টাকা দেন স্বীকার করে অভিযুক্ত হাসেম আলী জানান, ডিএফও আমাকে কড্ডা. ভাওয়াল মির্জাপুর ও রঘুনাথপুর সহ তিন বিট অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। আর এখানে আমার একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নাই। যা করি, সকলে মিলেই করি। এছাড়া উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এলে তাদের পিছনে অনেক টাকা-পয়সা খরচ হয়। এটা আমাদের বেতন থেকে কি খরচ করবো?
এব্যাপারে ওই রঘুনাথপুর বন অফিসের কর্মকর্তা মাসুম উদ্দিন জানান, আমার অন্যত্র পোষ্টিং হয়ে গেছে। এখানে আমার বক্তব্য দেওয়ার কিছু নেই। তবে এসব বিষয় জানার জন্য তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিম জানান, শুনেছি ওই মালি হাসেম আমাদের পুরাতন সিসিএফ স্যারের ভাতিজা। তিনি এক সাথে তিনটি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলে উপর থেকে আমাদের চাপ আসবে। তারপরও তাকে তার নিজ কর্মস্থলে পাঠানোর জন্য চেষ্টা করবো।

সর্বশেষ খবর

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031