প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি! র্যাব-৭ এর বিশেষ অভিযানে আবু তালেব@ ল্যাংড়া তালেব (৪৮) গ্রেফতার
জিয়াউল ইসলাম জিয়া
ঘটনার ভুক্তভোগী ভিকটিম মিজান খাঁন (৩৫), পিতা- মৃত আকবর খাঁ, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ধনশ্রী এলাকার বাসিন্দা। সে পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং তার দুই ভাই কুয়েত ও ডুবাই প্রবাসী ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা। ভুক্তভোগী ভিকটিম মিজানের পরিবার, তার বৃদ্ধ মা এবং কুয়েত ও ডুবাই প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রী সন্তানেরা একই বাড়িতে বসবাস করেন। গত ০৬ আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখ পরিবারের সবাই রাতের খাবার শেষ করে ঘুমিয়ে পরলে ঐরাতেই আনুমানিক ০৩২০ ঘটিকায় অজ্ঞাত ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল ভিকটিমের পাকা ঘরের পিছনে লোহার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিম মিজান খাঁনকে চেপে ধরে চোখ মুখ ও হাত পা বেধে গলায় চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে কেবিনেট এবং আলমারির চাবি নিয়ে নেয়।
ডাকাত দলের সদস্যরা ভিকটিমের মা এবং প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রী সন্তানদের গলায় চাকু ধরে রাখে ও চিৎকার করলে জবাই করে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে। এসময় ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যরা আলমারীতে রক্ষিত অবস্থায় থাকা ভিকটিমের স্ত্রী, মা ও ভাবিদের স্বর্ণালংকার (গলার হার, চেইন, আংটি, কানের দুল) সর্বমমোট ২২ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে। এছাড়াও ডাকাত দল ভিকটিমের ঘরে রাখা নগদ ০১ লক্ষ টাকা, উন্নতমানের ০২ মোবাইল এবং ০১টি পালসার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল লুট করে। পরবর্তীতে গত ০৮ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখ ভুক্তভোগী ভিকটিম মিজান খাঁন বাদী হয়ে উক্ত দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানায় একটি ডাকাতি মামলা দয়ের করেন, যার নং-০৬, ০৮ আগষ্ট ২০২৩ ইং, ধারা ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড ১৮৬০।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ধনশ্রী এলাকার প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি মামলার পলাতক আসামী চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর এলাকায় ছদ্মবেশে অবস্থান করছে। উক্ত দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনাটি লোমহর্ষক, চাঞ্চল্যকর ও রহস্যজনক হওয়ায় ডাকাতির মূল আসামী গ্রেফতার ও মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গত ২৮ আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখ র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী আবু তালেব@ ল্যাংড়া তালেব (৪৮), পিতা- আব্দুস সহিদ, সাং- উবাহাটা, থানা- চুনারুঘাট, জেলা- হবিগঞ্জ’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিস স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে সে উল্লেখিত দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামী আবু তালেব@ ল্যাংড়া তালেবের বিরুদ্ধে ঢাকা, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় অবৈধ অস্ত্র, মাদক, ডাকাতি এবং চুরিসহ সর্বমোট ১৮টি মামলা পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে