ক্ষুধার যন্ত্রনা নিবারনে ডাষ্টবিনের খাদ্য গ্রহন
জিয়াউল ইসলাম জিয়া প্রতিনিধি
পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকতে খাদ্য গ্রহন করে। কতশত খাবার খায় মানুষ!? এসব খাবারের রঙের মধ্যে রয়েছে যেমন পার্থক্য, ঠিক তেমনি আবার পার্থক্য রয়েছে স্বাদ কিংবা গন্ধে। তবে চিত্রটিতে যে কিশোরকে দেখা যাচ্ছে, সেও খাবার খেতে প্যাকেটিং করছে। এখানে পলাও, মাংস থেকে শুরু করে ডিমসহ রয়েছে আরো কত খাবার? তবে আপনি জানলে অবাক হবেন। এই সব খাবার হচ্ছে পঁচা বাসী ফেলে দেওয়া। ছেলেটি কুড়িয়ে নিচ্ছে একেবারে ময়লার ভাগাড় থেকে। হয়তো ক্ষুধার যন্ত্রনা সামান্য কিছু কমাতে অথবা পলাও বিরিয়ানীর স্বাদ পেতে ডাস্টবিন থেকে খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছে সে। দৃশ্যগুলো যেন সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায়। সব খাদ্য গ্রহনের দৃশ্য যেমন আকৃষ্ট করেনা সবাইকে আবার কিছু খাদ্য গ্রহনের দৃশ্যও ঠিক তেমনি হৃদয় ভেঙ্গে দেয় সবার। ছবিগুলো দেখে নিঃসন্দেহে যে কারো হৃদয় ভাঙ্গবে এক মুহুর্তে। দেখা গেছে শিশুটি পচা বাসী পলাও, ডিম, মাংস, মিষ্টিগুলো আলাদাভাবে ডাস্টবিন থেকে সংগ্রহ করে প্যাকেটিং করছে৷ চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ হাজী পাড়া গাউছিয়ার মুখে এই ময়লার ভাগাড়টি বলা হয়ে থাকে, অত্র এলাকার সর্ববৃহত ময়লার ভাগাড় এটি। যা একেবারে মূল সড়কে অবস্থিত। আর এই স্থানে প্রতিদিন বাসাবাড়ি, দোকানপাট কিংবা বিয়ের হলগুলো থেকে চসিকের নিদিষ্ট শ্রমিকরা ময়লা সংগ্রহ করে জমা করে। শুধু এই শিশুটি নয়, এই স্থানে আসলে হয়তো আপনিও স্বাক্ষী হবেন এমন আরো অনেক করুন দৃশ্যের। এখানে ডাস্টবিন থেকে কেউ সরাসরি খাবার খায়, কেউবা আবার সংগ্রহ করে নিয়ে যায় পরিবারের জন্য। এক শ্রেনীর মানুষের জন্য যেন এই ডাস্টবিনটি একমাত্র ভরসা। যদিও শিশুটির সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানা যায়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, মানবতার চরম অবক্ষয়ের দৃশ্য ফুটে উঠেছে এখানে। খাবারগুলো যখন ভালো ছিল, তখন তুলে দেওয়া হয়নি অসহায় মানুষের মুখে। নষ্ট না হওয়া অবধি ইচ্ছে করে জমিয়ে রাখা হয়েছিল, জমিয়ে রেখেছিলেন সেইসব তথাকথিত ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। এখন পচে যাওয়ায় এখানে ফেলে দিছে। আর তা অসহায় শিশুরা কুড়িয়ে খাচ্ছে। সমাজের উচ্চ বিত্তবান যদি সুদৃষ্টি দিত তাহলে অসহায় ও পথ শিশুরা পেতনা খাবারের কষ্ট।