
আবুল কালাম আজাদ: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঘোষিত প্রার্থী তালিকা ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়েছে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে। সোমবার (৩ নভেম্বর ২০২৫) রাতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরপরই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ–এর সমর্থকরা ধানের শীষের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। ঘোষিত তালিকায় গৌরীপুর আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনকে ধানের শীষের প্রার্থী করা হয়েছে।
মনোনয়ন ঘোষণার পর রাতেই গৌরীপুর শহরের উত্তর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাটবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সদস্য সচিব সুজিত কুমার দাস, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান সিরাজ, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম প্রত্যয়, কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহজাহান আকন্দ সুমন ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম পিয়াস প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উত্তর জেলা ছাত্রদলের সদস্য সেলিম আজাদ।
সমাবেশে আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণের সহধর্মিণী সাইদা মাসরুর বলেন, “১৭ বছর ধরে আমার স্বামী দলের জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন। কখনও ছিলেন জেলে, কখনও পালিয়ে বেড়িয়েছেন। দলের জন্য তিনি সবকিছু উৎসর্গ করেছেন। জুলাই আন্দোলনে আমার স্বামী ছিলেন কারাগারে, আমি মেয়েকে নিয়ে রাজপথে ছিলাম।”
পৌর বিএনপির সদস্য সচিব সুজিত কুমার দাস বলেন, “হিরণ গৌরীপুর বিএনপির প্রাণ। আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি অসংখ্য মামলা ও হামলার শিকার হয়েছেন। তাঁর মনোনয়ন বাতিল না করা হলে কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল ইসলাম খান শহিদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “দলীয় মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের নির্দেশনা ব্যতীত কাউকে আনন্দ মিছিল না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”










