আবুল কালাম আজাদ :ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় আড়াই বছরের কন্যাশিশুকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন মর্জিনা বেগম (২৩)। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার পাগলা থানাধীন দত্তেরবাজার ইউনিয়নের বিরই গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর ২০২৫) এ ঘটনায় পাগলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মর্জিনা বেগম প্রবাস ফেরত শাহীনের স্ত্রী। শাহীন সৌদি আরব প্রবাসী ছিলেন এবং প্রায় আড়াই মাস আগে স্ত্রীর মানসিক চিকিৎসার জন্য দেশে ফেরেন। মর্জিনা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং স্থানীয় কবিরাজের মাধ্যমে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ করে প্রথমে কন্যাশিশু ময়না (২) কে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন মর্জিনা। পরে একই দড়ি ব্যবহার করে নিজেও আত্মহত্যা করেন।
ঘটনার সময় শাহীন বাইরে ছিলেন। তিনি ফিরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে পাশের কক্ষের সিলিং উঠে ভেতরে তাকিয়ে মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। পরে খবর পেয়ে পাগলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া বলেন, “শাহীন ও মর্জিনার দাম্পত্য জীবনে কোনো কলহ ছিল না। তবে মর্জিনা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। মাঝে মাঝে নিজের চুল টানাটানি করতেন।”
পাগলা থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, “মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”