
রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থীকে (১৪) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধানকে আটক করেছে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীরা। রোববার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চিলমারীর থানাহাট ইউনিয়নের মধ্য প্রামাণিকপাড়ায় একটি মক্তবে আটকে রাখেন অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে।
অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম হাফেজ মাওলানা রিয়াজুল ইসলাম। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নে। তিনি বিবাহিত। ইউনিয়নের একটি আবাসিক কওমি মাদ্রাসায় সস্ত্রীক বসবাস করেন তিনি। কয়েক দিন আগে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মাদ্রাসার আবাসিক এক ছাত্রীকে তিনি ধর্ষণচেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর এক নিকটাত্মীয় জানান, এক সপ্তাহ আগে ওই শিক্ষক রাতের বেলা ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিজ রুমে ডেকে নেন। মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ছাত্রী তাকে বাধা দিলে তিনি ছাত্রীর বুকে ও মাথায় আঘাত করেন। এতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ওই ছাত্রী তার বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে বিষয়টি জানান। পরে ছাত্রীর পরিবারের লোকজন রোববার ওই শিক্ষককে আটক করে চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মধ্য প্রামাণিকপাড়ার একটি মক্তবে আটকে রাখেন এবং মারধর করেন। এ সময় ওই শিক্ষক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
রোববার দিবাগত রাত ১ টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে স্থানীয়রা আটকে রাখেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ফয়সালা করার চেষ্টা চলছিল বলেও খবর পাওয়া গেছে।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।










