
প্রায় তিন মাস পর ওয়ানডে খেলতে নামছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। তবে আফগানদের অবস্থা বাংলাদেশের চেয়েও করুণ; তারা গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শেষবার ওয়ানডে খেলেছিল, আট মাস পর এই ফরম্যাটে ফিরছেন রশিদ খানরা।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পর এবার ওয়ানডে ফরম্যাটে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। আজ, আবুধাবিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রশিদ খানদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। এই ম্যাচটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে, কারণ ওপেনিংয়ে অভিষেক হতে চলেছে সাইফ হাসানের, যিনি টি-টোয়েন্টিতে ইতিমধ্যেই নিজের জাত চিনিয়েছেন।
সেই আবুধাবি থেকেই সুপার ফোর খেলতে দুবাই গিয়েছিল বাংলাদেশ দল, আফগানিস্তানকে হারিয়ে। মাঝের তিন সপ্তাহে অনেক কিছুই বদলে গেছে। একসময় যে আফগানদের নিয়ে একটা অজানা আতঙ্ক কাজ করত, টি-টোয়েন্টিতে টানা চারটি ম্যাচ জেতার পর সেই আতঙ্ক আর নেই। জাকের আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে।
টি-টোয়েন্টি দলের সবচেয়ে বড় আস্থার নাম সাইফ হাসান, যাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল টেস্ট দিয়ে, এবার তাঁর ওয়ানডে অভিষেক হতে চলেছে। টিম ম্যানেজমেন্ট আশাবাদী যে, টি-টোয়েন্টির ধারাবাহিকতা তিনি ওয়ানডেতেও ধরে রাখবেন। তিলকোটের এই ফরম্যাটে তাঁর ছক্কা হাঁকানোর মেজাজ ধরে রাখতে পারবেন কিনা, সেটাই দেখার অপেক্ষায় সমর্থকরা। তানজিদ তামিমের সঙ্গে তাঁকেই ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে। চার বছর আগে টেস্ট অভিষেক ও ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেক ভুলে যাওয়ার মতো হলেও, ১৪৫টি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলার পর ওয়ানডে অভিষেক স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন সাইফ।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো ওয়ানডেতেও আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য বাংলাদেশের। যদিও দুই দলের চারটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ এখন পর্যন্ত ২-২-এ সমতায় আছে। সব মিলিয়ে দুই দলের মুখোমুখিতে এগিয়েই আছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যেখানে ১১ বার জিতেছে, সেখানে আফগানরা জিতেছে আটবার।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:তানজিদ হাসান, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), শামীম হোসেন/সোহান, জাকের আলী, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, তানভীর ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ:রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, সেদিকুল্লাহ আতাল, রহমত শাহ, হাসমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), ডারউশ রাসুলি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, নানগেয়েলিয়া খারোত ও বশির আহমাদ।










