
আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডাউকি ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে গতকাল শনিবার দিনব্যাপী বাছাইকৃত কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বাদেমাজু বাদল স্মৃতি একাডেমির হলরুমে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে কর্মীদের মাঝে ঈমানি জাগরণ, আদর্শিক দৃঢ়তা ও সাংগঠনিক দায়িত্ববোধ সৃষ্টি করাই ছিল মূল লক্ষ্য।
শিবিরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জননেতা রুহুল আমিন।
জেলা আমির রুহুল আমীন বলেন, “জ্ঞান অর্জনের সূচনা করতে হবে আল্লাহর নামে। ইঞ্জিনিয়ার হোন বা ইমাম—আল্লাহর নাম ছাড়া অর্জিত জ্ঞান দুনিয়াবি হতে পারে, কিন্তু পরকালের পাথেয় হতে পারে না।” তিনি বলেন, “কোরআন বাদ দিয়ে কোনো ইসলামী সমাজ গঠন সম্ভব নয়। কর্মীদের কেবল স্লোগানে নয়, বাস্তব জীবনে কোরআন-সুন্নাহর আদর্শ ধারণ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ মানুষ কোরআনের পরিবর্তে তাবিজ-মাদুলির ওপর নির্ভর করছে—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইসলামী আন্দোলনের পথ সহজ নয়, তাই কর্মীদের ধৈর্যশীল হতে হবে। বিপদের সময় মানুষের দিকে নয়, আল্লাহর দিকে ফিরে যেতে হবে। ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হতে হবে—নামাজ, রোজা, যাকাত, পিতা-মাতার খেদমত আন্তরিকভাবে আদায় করতে হবে।”
প্রত্যেক কর্মীকে অন্তত ১০ জনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এর মধ্যে অন্তত তিনজন যেন আত্মীয়স্বজন হয়। দাওয়াত ছাড়া ইসলামী আন্দোলন স্থবির হয়ে পড়ে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আলতাফ হোসাইন, জেলা আইন ও আদালত বিষয়ক সম্পাদক দারুস সালাম, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি শেখ নূর মোহাম্মদ হুসাইন টিপু, আলমডাঙ্গা উপজেলা আমীর প্রভাষক শফিউল আলম বকুল, সেক্রেটারি মামুন রেজা এবং সহকারী সেক্রেটারি বেলাল হুসাইন।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন ডাউকি ইউনিয়ন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও টি.সি.আর পরিচালক আলাউদ্দিন। শুরুতেই দারসুল কুরআন পেশ করেন বদরগঞ্জ বাকী বিল্লাহ কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মোঃ রুহুল আমিন।
শিবিরের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন—অফিস বিভাগে শরিফুল ইসলাম, মেহমান বিভাগে শরিফুল ইসলাম (কর্মপরিষদ সদস্য), খাদ্য বিভাগে বদরুদ্দীন মেম্বার, শৃঙ্খলা বিভাগে আনিছুর রহমান মেম্বার, পানি ও স্যানিটেশন বিভাগে বাদল রশিদ এবং চিকিৎসা বিভাগে মুন্সি বায়েজিদ হোসেন।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ডাউকি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. আব্দুস সালাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুন্সি আব্দুস সালাম, সাইদুর রহমান, মেহেদী হাসান সলক, আব্বাস উদ্দিন ও রাসেলসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলরা।