
খন্দকার শাহ আলম মন্টুঃ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক হুইপ বর্ষিয়ান নেতা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এর যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল শনিবার বেলা ১১ টায় তার নিজ হাতে গড়া চুয়াডাঙ্গার র্ফাস্ট ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয় ময়দানে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার ও সশস্ত্র সালাম জানানো হয়। গার্ড অব অনারের সালাম গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসটি) নয়ন কুমার রাজবংশী। এরপর হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও জনগণের উপস্থিতিতে জানাযা নামাজ সম্পন্ন হয়। এসময় জেলা প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক কিশ্বাস ও নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, জাসদ নেতা তৌহিদ হোসেন, দলীয় নেতাকর্মী এবং অসংখ্য মানুষ জানাজায় অংশগ্রহন করেন। এরপর তার মরদেহ নেয়া হয় রেলস্টেশন সংলগ্ন জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে। সেখানে তাঁর মাতা মরহুমা আছিয়া খাতুনের কবরের পাশে তার দাফন করা হয়।
এছাড়াও গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশানে আজাদ মসজিদে তার প্রথম নামাজের জানাজা পড়ানো হয়। প্রথম জানাজা নামাজে অংশ নেন মরহুমের ছোট ভাই সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, নিকট আত্মীয় স্বজন ও অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। জানাজা শেষে শনিবার ভোরে মরহুমের মরদেহ চুয়াডাঙ্গা কবরী রোডে নিজ বাড়িতে আনা হলে দলমত নির্বীশেষে সবাই শেষবারের মত এই বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক হুইপকে একপলক দেখার জন্য তার বাড়িতে ছুটে যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯বছর।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন সন্ধা ৭ টা ২০ মিনিটে ঢাকার এভার কেয়ার নামক বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে এবং অগণিত আত্বীয়-স্বজন রেখে গেছেন।