লতিরাজ কচু চাষে স্বপ্ন দেখছেন ভোলাহাটের রায়হান
Spread the love

মোঃ রনি রজব : লতিরাজ কচু ভাগ্য বদলের স্বপ্ন কৃষক রায়হানের । চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোলাহাট উপজেলা জামবাড়ীয়া গ্রামের রায়হান উদ্দিন লতিরাজ কচু চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন। রায়হান ইউটিউব দেখে এ ফসল চাষ করার ইচ্ছা পোষণ করে। লতিরাজ কচু চাষের বিষয়টা ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের জানালে তাকে অনুপ্রাণিত করেন। শুরুতে কয়েক শতক জমিতে পরীক্ষামুলক ভাবে লতিরাজ কচু চাষ করেন।উৎপাদিত কচু লতা বিক্রি করে লাভবান হন।কৃষক রায়হান বলেন, লতিরাজ কচু একটি লাভজনক একটি ফসল।লতিরাজ কচু চাষে আমাকে কৃষি অফিস সহায়তা করেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি লতি রাজ কচুর লতি ৭২ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যায়। এটা আমাদের এলাকায় প্রচলিত নয়। আমি ইউটিউব দেখে চাষ করা শুরু করেছি। তিনি আরো বলেন, তিন বিঘা জমিতে এখন পর্যন্ত ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার লতি বিক্রি করেছি। আরো সাড়ে ৩ লাখ মতো আয় হবে। অন্যরা চাষ করলে আমি স্বল্প মূল্যে ছাড়া দিয়ে সহায়তা করব। উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাসিরুল ইসলাম বলেন, ভোলাহাট উপজেলায় এর আগে কখনো চাষ হয়নি।কৃষক রায়হান লতিরাজ কচু চাষের আগ্রহ প্রকাশ করলে তখন বাজারজাতের খোঁজ খবর নিয়ে তাকে চাষের পরামর্শ দিই।যেহেতু এ অঞ্চলে লতিরাজ কচু চাষের প্রচলন নাই।বাজারজাতের খোঁজ খবর নিয়ে আমাকে জানালে আমি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জমি পরিদর্শন করে চাষ করতে সহায়তা করি।ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সুলতান আলি বলেন,লতিরাজ কচু ও লতা অত্যান্ত সুস্বাদু পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ।অনাবাদি, প্রতিত স্যাতসেতপ জমিতে লতিরাজ কচু চাষ করা যায়। লতিরাজ কচু একটি সম্ভাবনাময় উচ্চ ফলনশীল ফসল। রায়হান লতিরাজ কচু চাষ করার কথা জানালে আমরা প্রমাণিত প্রযুক্তিগত প্যাকেজের আওতায় একটি প্রদর্শনী দিয়েছি। অন্যান্য কৃষক উচ্চ মূল্যের লাভজনক ফসল চাষ করতে চাই তাহলে আমরা তাদেরকে প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রযুক্তি দিয়ে সহয়োগিতা করবো।

সর্বশেষ খবর

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31