
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪: আলমডাঙ্গা পৌরসভায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয় এক নতুন প্রশাসনিক অধ্যায়। এদিন দায়িত্ব নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মেহেদী ইসলাম, যিনি পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়ার পর মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে হয়ে উঠেছেন পৌরবাসীর আস্থার প্রতীক।দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও ব্যবস্থাপনার দুর্বলতায় বিপর্যস্ত ছিল আলমডাঙ্গা পৌরসভা। জনপ্রতিনিধিদের সময়কালে নাগরিকসেবায় ছিল নানা সীমাবদ্ধতা। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন, রাজস্ব খাতে ছিল বড় অস্বচ্ছতা, এবং পৌরসভার বিদ্যুৎ বিলের বিপুল বকেয়া ছিলো বড় মাথাব্যথার কারণ। সেই প্রেক্ষাপটে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে শেখ মেহেদী ইসলাম প্রথমেই দেন দৃশ্যমান পরিবর্তনের বার্তা। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই পরিশোধ করা হয় পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন, নেওয়া হয় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের বাস্তবধর্মী উদ্যোগ। রাজস্ব খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পৌর পশুহাট, মোটরসাইকেল হাট ও পোড়ো বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজারগুলো নতুনভাবে ইজারা দিয়ে রাজস্ব আয় নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে পৌরসভার আর্থিক কাঠামোতে আসে স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনাতেও আনা হয় জবাবদিহিতা ও পেশাদারিত্ব। কর্মকর্তাদের মাঝে দেখা গেছে নতুন উদ্যম, আর সাধারণ নাগরিকদের চোখে ফুটে উঠেছে আস্থার ঝিলিক। সচেতন মহল বলছেন, বিগত সময়ের কোনো জনপ্রতিনিধি এত অল্প সময়ে এত কার্যকর ও জনবান্ধব পরিবর্তন আনতে পারেননি। শেখ মেহেদী ইসলাম নিজের কর্মদক্ষতা ও স্বচ্ছ প্রশাসনিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে অল্প সময়েই অর্জন করেছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। পৌরসভার একজন প্রবীণ নাগরিক বলেন, “আগে যারা ছিল তারা বছরের পর বছর থেকেও কিছুই করতে পারেনি। এখন মাত্র কয়েক মাসেই যা পরিবর্তন এসেছে, তা চোখে পড়ার মতো। এখন আমরা বলতে পারি—আস্থার আরেক নাম শেখ মেহেদী ইসলাম।” আরো আসছে বিস্তারিত…