
রফিকুল ইসলাম রফিক : উলিপুর উপজেলার ধরণীবাড়ি মুন্সিবাড়ি তেলিপাড়া এলাকায় এক সন্দেহভাজন যুবককে আটক করা হয়েছে। স্থানীয়দের সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করে তাকে আটক করা হয়, এবং তার কাছ থেকে গাঁজা ও একটি ধারালো খুর উদ্ধার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, যুবকটি এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল, যা স্থানীয়দের সন্দেহজনক মনে হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে সে আত্মরক্ষার্থে খুর বের করে। তবে উপস্থিত যুবকরা শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে স্থানীয় চৌকিদারকে খবর দেন। পরবর্তীতে চৌকিদারের সহায়তায় পুলিশ এসে যুবককে নিজেদের হেফাজতে নেয়। উলিপুর থানার এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই এবং যুবকটিকে আটক করি। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অবৈধ অস্ত্র বহনের অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর প্রতিরোধ এই ঘটনার আগের দিন একই এলাকায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী রত্না বেগম ও তার স্বামী আতা মিয়ার বাড়িতে কয়েকজন যুবক মাদক সংগ্রহ করতে আসে। মাদক ব্যবসার স্থানটি মসজিদের কাছাকাছি হওয়ায় মসজিদের ইমাম সাহেব বিষয়টি লক্ষ্য করেন এবং সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা ইমাম সাহেবকে গালিগালাজ করে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে।এই ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী ঈদের আগের দিন এশার নামাজের আগে ধরণীবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক ও উলিপুর থানার ওসি সাহেবকে ডেকে আনেন। তারা একসঙ্গে এলাকাবাসীর সাথে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেন যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের মাদক কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না এবং কেউ মাদক সংগ্রহ করতে এলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মিটিংয়ের পরদিনই মাদকসেবীরা পুনরায় মাদক নিতে এলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তাদের প্রতিহত করতে উদ্যোগী হয়। এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে আক্রমণ চালায় এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়। প্রশাসনের সতর্কবার্তা প্রশাসন সাধারণ জনগণকে অনুরোধ করেছে যে, সন্দেহজনক কোনো ঘটনা দেখলে তারা যেন নিজের হাতে আইন তুলে না নেন এবং দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেন। স্থানীয়দের সচেতনতা ও পুলিশের তৎপরতায় এই অঞ্চলে অপরাধ দমনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।