
মদন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এস, এইচ, পিপলু, বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় সাংগঠনিক পদ থেকে থাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির তারা যৌথভাবে মদন উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি এস এইচ পিপুলকে অব্যাহতি সিদ্ধান্তে অনুমোদন করেন। সেই সাথে তার সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে কোনরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে এস এইচ পিপলু আহমেদ বলেন, আমি যড়ষন্ত্রের শিকার। বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার আমলে বিএনপিকে নিধনে আমাকে ২২টি রাজনৈতিক মামলার আসামি করা হয়েছে। নয় বার জেলে কেটেছি। তবে আমি আমার মানবিক কাজগুলো চালিয়ে যাব। উল্লেখ্য গত ১৩ মার্চ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে যান মদন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এস এইচ পিপুল। তিনি পিআইওর কাছে টিআর কাবিখা প্রকল্পের জন্য আটটি প্রকল্পের তালিকা দেন। পরে পিআইও তার আবেদনের প্রেক্ষিতে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। বাকি প্রকল্প বন্টন হয়ে গেছে জানালে পিপুল ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর কে তার অফিসে মারধর করার জন্য উদ্যত হন। উপস্থিত অন্যান্য লোকজনের চেষ্টায় পিপুল কে শান্ত করা হয়। এ বিষয়টি পরে উপজেলা বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে জানাজানি হয়।