
মাগুরাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রবাসী নারীকে ধর্ষণ ও অর্থকড়ি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে মাগুরা শহরের ভিটাসাইর এলাকায় ধর্ষণকারীর বোনের বাড়িতে সোহরাব (৪৫) এর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা নারী কে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই নারী জীবিকার তাগিদে প্রায় ৭ বছর পূর্বে সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। আর এদিকে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার রায়গ্রামের সোহরাব সাথে ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সৌদি আরবে শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয় সোহরাবের। নারীর সাথে থাকা প্রায় ১২ লাখ টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন, একটি ঘড়ি এবং তাহার পাসপোর্ট কৌশলে হাতিয়ে নেয় সোহরাব । পরে কৌশলে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেন , ধর্ষিতা নারী বলেন, আমি সৌদি আরব থাকাকালে সোহরাব আমাকে বিবাহ করেন শরীয়ত মোতাবেক। আমার কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে এরপর আমাকে দেশে পাঠিয়ে দেন, এরপর আমার সাথে ঠিক মতন যোগাযোগ করেন না। ফোন দিলে ফোন কেটে দেন বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর অনেকদিন পর আমাকে ফোন দেন এবং সোহরাব বলেন , সাথী তুমি মাগুরায় চলে আসো তোমাকে আমি বিবাহ করব। পরে সোহরাবের কথায় বিশ্বাস করে মাগুরায় আসেন ওই মহিলা। মাগুরায় আসার পর সোহরাব তাকে তার বোনের বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্ব ধর্ষণ করেন এবং নগদ অর্থ হাতিয়ে নেন। এর পর তাকে নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ফেলে রেখে চলে যান সোহরাব। পরে তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখন ঐ নারী একটা সুষ্ঠ প্রতিকার চাইছেন।