জামাল উদ্দীন :কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচারের সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ( ২বিজিবি) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৯ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে ডাবল জোড়া নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল কর্তৃক গোপন তৎপরতা এবং নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়। এছাড়াও সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ দমদমিয়া বিওপির ০৫ টি নৌ টহলদল নাফ নদীর বিভিন্ন স্থানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনার এক পর্যায়ে আনুমানিক ০৫৩০ ঘটিকায় কর্কশিট দ্বারা উদ্ভাবিত উপায়ে তৈরি ভেলার সাহায্যে দুইজন ব্যক্তিকে অভিনব পদ্ধতিতে মাদক নিয়ে নাফ নদী সাঁতরে পারাপারের সময় ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিশেষ টহলের মুখোমুখি হয়। অভিযান দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীদলটি মাদক বহনের জন্য ব্যবহৃত ভেলাটি ফেলে রাতের আঁধার এবং ঘন কুয়াশার আড়ালে নদী সাঁতরিয়ে শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের অপর পার্শ্বে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে, নৌ টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া ভেলা হতে দুইটি মাদক ভর্তি বস্তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত চটের বস্তার ভিতর হতে ২৫টি (বিশেষ উপায়ে পানি নিরোধক অবস্থায়) ইয়াবা ভর্তি প্যাকেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার পরিমাণ ২,৫০,০০০ (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) পিস। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী বিওপি সমূহ হতে বিশেষ টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় ০৭০০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ইকরামুল হক, সহ-সম্পাদক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম,
ফোন০১৭২০৫৯৩৯১৬/০১৭৫২৫৭৫২৮১/এস এফ টিভির অফিস: আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা