
আলমডাঙ্গা অফিসঃ আলমডাঙ্গা কুমারি ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের জিনারুলের স্ত্রী তসলিমা খাতুন পরকিয়ায় জড়িত হয়ে তার স্বামীর ২০লাখ টাকা আত্মসাৎ করে তার পরকিয়া প্রেমিক আব্দুল্লার সাথে পালিয়ে গেছে।এ বিষয়ে জিনারুলের মা মোঃআকলিমা খাতুন বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেছেন।জানাগেছে,মৃত সুবারেক মন্ডলের ছেলে জিনারুল ইসলাম কর্ম সংস্থানের জন্য দুই বছর আগে স্ত্রী সন্তান রেখে মালোয়েশিয়ায় চলে যান।এর মধ্যে তার স্ত্রী মোছাঃ তাসলিমা খাতুন কামালপুর গ্রামের কাজল মহুরির ছেলে আব্দুল্লার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে।অন্যদিকে তার স্বামী জিনারুল বিদেশে চাকরি করে যে টাকা পাঠায় সেই টাকা তার স্ত্রীর নামে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে যে হিসাব খুলে রেখেছিল সেখানে জমা হয়।সেই হিসেবে ইতিমধ্যে ১০লক্ষ টাকা হয়েছে।তাসলিমা পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ার পর সে তার শাশুড়ি ও সস্তানের সাথে দুর্ব্যবহার করে।মাঝে মধ্যে তাসলিমার পরকিয়া প্রেমিক আব্দুল্লা তাদের বাড়িতে দেখা করতে আসে।এসব খারাপ দৃশ্য দেখে পাড়া প্রতিবেশীরা নানা রকম কু কথা বলতে থাকে।শাশুড়ি তার বেটার বৌকে বার বার সাবধান করার পরও সে কারো তোয়াক্কা করে না।বিষয়টি জানাজানি হলে জিনারুলের কানে পৌছায় তার স্ত্রীর পরকিয়ার কথা।এমনিতে সে বিদেশে চাকরি করতে গেছে তার উপর স্ত্রী সম্পর্কে এমন কটু কথা শোনার পর মাথা খারাপ হয়ে যায়।সে তার স্ত্রীকে ফোন করে তাদের সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তার স্ত্রীকে সাবধান করে বলে তোমার কারনে আমাদের এতদিনের সংসার নষ্ট হয়ে যাবে।দয়া করে এমন কাজ করোনা।কথায় বলে চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি।তার স্ত্রী ও তার কথায়,কর্নপাত করেনি।গত ১৯ ডিসেম্বর তাসলিমা সু কৌশলে তার শাশুড়ি ও সন্তান বাড়িতে না থাকায় সুযোগ বুঝে গরু বিক্রি করা ৩লক্ষ ও বাড়িতে থাকা ২ লক্ষ নগদ টাকা ও প্রায় ৩ লক্ষ টাকার গহনা আসবাব পত্র সহ তার পরকিয়া প্রেমিক আব্দুল্লার সাথে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।অনেক খোজাখুজি করে তাদের কোন হদিস পাওয়া যায়নি।অবশেষে জিনারুলের মা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে তার বেটার বৌ তাসলিমার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।এছাড়াও তাসলিমা স্বামীর কষ্টারর্জিত পাঠান ১০লক্ষ টাকা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে গেছে।তাসলিমা তাদের ১৬ বছরের সংসার ভেঙ্গে ১৫ বছরের ছেলে রেখে শারিরিক সুখের আশায় ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।উল্লেখ্য তাসলিমার পিতার বাড়ী কালিদাশপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামে,পিতার ঝড়ু মন্ডল।এবিষয়ে থানার ওসি মাসুদুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করলে ওসি জানান “আকলিমা খাতুন তার বেটার বৌ তাসলিমা খাতুনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।আমরা তদন্ত করছি,তার পরকিয়া প্রেমিক আব্দুল্লার সন্ধান পেলে দুজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব”।