মোঃ শুভ ইসলাম : বিবাহিত হয়েও সরকারি চাকরির আবেদনে অবিবাহিত লিখে তথ্য গোপন করে পোষ্য কোটায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আনারুল ইসলাম নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
আনারুল ইসলাম গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার গলদা গ্রামের সাখাওয়াৎ হোসেন ও দক্ষিণ কৃষ্ণমনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোছাঃ আনোয়ারা খাতুনের ছেলে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে মায়ের পোষ্য কোটা দ্বারা সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করেন ও পরে শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হলে ২০২৪ সালের ০২ মে তারিখে পোষ্য কোটায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করেন।
ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চলছে নানা সমালোচনা।এ যেন বিশাল এক জালিয়াদি ও প্রতারণা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় আনারুল ইসলাম একজন বিবাহিত ছেলে।তার স্ত্রী চম্পা বেগম ২০১৬ সালের ০২ জুলাই একটি কন্যা সন্তানের মা হন।তাদের সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য ২০২০ সালে একই উপজেলার হোসেনপুর মুসলিম একাডেমি স্কুলে নার্সারিতে ভর্তি করান।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস পোষ্য কোটায় চাকুরি নেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে, চাকরি হারানোর ভয়ে সন্তানের বিষয়টি গোপন করতে ০৪ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসীকে হোসেনপুর মুসলিম একাডেমি স্কুল থেকে সরিয়ে নেন পিতা আনারুল ইসলাম।
স্থানীয়দের কাছে এমন বিষয় জানতে চাওয়া হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, এ বিষয়টি একেবারে প্রতারণা ও জালিয়াদি।এমন পোষ্য কোটায় তার চাকরি নেওয়া উচিত হয়নি।দেশের প্রতিটি শিক্ষিত সমাজের ছেলে মেয়েরা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাবে এটাই স্বাভাবিক। বাবা কিংবা মা যে পদে চাকরি করে তাদের সূত্র ধরেই যে তার সন্তানরা চাকুরি পাবে এটা কেমন কথা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দেশ এবং জাতি মেধাবী ছাত্রকে হারাতে বসবে। যে স্কুলে মেধার ভিত্তিতে চাকরি মেলে না সে স্কুলে কেমন করে শিক্ষার মান ত্বরান্বিত হবে। আর এমন অবস্থা চলতে থাকলে
জাতি অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
তাই উপর মহলকে এমন প্রতারনার বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষক আনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী উঠেছে।