চাঁপাইনবাবগঞ্জে সেটেলমেন্ট অফিসার আকবর ও আলমগীরের দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
Spread the love

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের দেবীনগর মৌজার অনেক অসহায় কৃষকের প্রায় ২০০ একর জমি টাকার বিনিময়ে অন্যদের নামে রেকর্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিকরা।

মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিশ্বরোড মোড়সংলগ্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাংবাদিক এসোসিয়েশন অফিসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মোঃ ইমাজ উদ্দিন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৬৭ নং দেবীনগর মৌজায় ২০০৮ ভূমি জরিপ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৫ সালে। এরপর ২০১৬ হইতে ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজশাহী সেটেলমেন্ট দিয়ারা অপারেশন রাজশাহী অফিসে ভারপ্রাপ্ত করে আকবর হোসেন ও সিট কিপার আলমগীর হোসেন, দুর্নীতি করে অর্থের বিনিময়ে দেবীনগরের ভূমিদস্যু ওসমান গনি, রেজাউল করিম, আব্দুর রহমান, আব্দুল আজাদ, কামরুজ্জামান, তাজিমুল হক, তৈমুর রহমান, আখতারুজ্জামানের সহিত সক্ষতা গড়ে তাহাদের নামে বেনামে গরিব অসহায় অশিক্ষিত সহজ সরল ব্যক্তিগণের খতিয়ান হতে জমি কর্তন করে তাদের খতিয়ানে রেকর্ড করেন এবং কোন কোন খতিয়ানে তাদের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করেন।

তিনি আরো বলেন, ভূমিদুষ্যদের সাথে চাহিদা মত বিভিন্ন খতিয়ান হইতে জমি কর্তন করে টাকার বিনিময়ে ফ্রাড করে রেকর্ড প্রদান করেছেন। এ বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন , প্রকাশনা প্রিন্ট খতিয়ান প্রাপ্তির পর জানতে পেরে ফ্রড কোরিয়া জমি কর্তন করা হয়েছে , এরপর আমরা আমাদের জমি ফেরত পেতে, ঢাকা সেটেলমেন্ট অফিস ও রাজশাহী সেটেলমেন্ট অফিসের চার্জ অফিসার জেলা প্রশাসক রাজশাহী , জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী দুর্নীতি দমন কমিশন, বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলেও কাঙ্খিত কোন ফল পাওয়া যায়নি। মর্মে সেই সকল খতিয়ানের মালিকগণ সঠিকভাবে রেকর্ড পাওয়ার জন্য চার্জ অফিসার রাজশাহী দিয়ারা সেটেলমেন্ট অপারেশন বরাবর দরখাস্ত করিলে, ভূমিদস্যুগণ সিট কিপার আলমগীর হোসেনের পরামর্শে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে দরখাস্ত করিয়া রেকর্ড সংশোধন করতে বাধাগোস্থ করেছেন। এ সময় তিনি ভূমি উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করে কামনা করে গরিব অসহায় মানুষদের জমি ফেরত পেতে আকুল আবেদন জানান।

তবে এ বিষয়ে সেটেলমেন্ট রেকর্ড কিপার আকবর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, তবে সিট কিপার আলমগীরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের জরিপ শেষে ঐ মৌজার সকল প্রকার সিট ঢাকায় হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে, হেড অফিসে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দিবেন। আপনারা টাকার বিনিময়ে ফ্রাড করে অন্য জনের নামে রেকর্ড করেছেন জানতে চাইলে। তিনি বলেন, এটা অভ্যন্তরীণ বিষয় এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

সর্বশেষ খবর

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930