
সারদীয় দুর্গা পূজা বিসর্জনের পর রাজনৈতিক নেতাদের যে মামলা গুলো হয়েছে তাদের গ্রেফতারের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় চুয়াডাঙ্গা পুজা মণ্ডপ পরিদর্শনের সময় খুলনা বিভাগের ডিআইজি রেজাউল হক(পিপিএম) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আগামীকাল বিসর্জন এই জন্য খুলনা বিভাগের কোনো জেলায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি মন্দিরে। প্রত্যেকটা মন্দিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর তৎপর আছে। প্রত্যেকটা মন্দিরে কঠোর নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা। সম্প্রীতি বজায় রাখার দেশ বাংলাদেশ। তাই বিসর্জনের দিন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের সব প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। বিসর্জন হয়ে যাওয়ার পর অপরাধ দমন করতে পুলিশ জোরদার ভাবে কাজ করবে। আর যেগুলো মামলা রাজনৈতিক দলের নেতাদের নামে হয়েছে। ওই সকল নেতাকর্মীদের মামলা চুয়াডাঙ্গা জেলা সুপার ও পুলিশ অফিসারদের সাথে আলোচনা করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সকল অপরাধীকে গ্রেফতারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পুলিশের প্রতি আস্থা রাখেন বিসর্জনের পর মামলা জড়িত অপরাধের আসামীগুলো আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ কাজ করবে।
এর আগে চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার দুর্গা মন্দিরে পরিদর্শনের পর চুয়াডাঙ্গা জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) হাসানুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম সেবা) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত রিয়াজুর ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরিফ, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাড. রুহুল আমিন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের কমিটির সদস্য ও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উপস্থিত ছিলেন।