কোটা আন্দোলনে ঢাকায় সংসদ ভবন এলাকায় পুলিশের গুলিতে জামালগঞ্জের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত যুবক জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামের আবুল কালামের পুত্র সোহাগ মিয়া (২২)।এ ঘটনায় নিহত সোহাগ মিয়ার ছোট ভাই শুভ মিয়া আহত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। নিহতের বড় ভাই বিল্লাল মিয়া জানান, নিহত সোহাগ মিয়া ও তার ছেট ভাই শুভ মিয়া ঢাকায় বাড্ডার হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।গত ৫ জুলাই দুপুরে ঢাকায় সংসদ ভবনের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সোহাগ গুলিবিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এসময় সাথে থাকা ছোট ভাই শুভ মিয়া তার গুলিবিদ্ধ ভাইকে বাঁচাতে গেলে সে নিজেও আহত হন। বর্তমানে সে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।এদিকে সোহাগের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মঙ্গলবার ভোরে সোহাগের মৃত দেহ জামালগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে সর্বস্তরের জনগন দেখতে ছুটে যান। পরে দুপুর ২টায় জামালগঞ্জ হেলিপ্যাড মাঠে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অপরদিকে সকাল ১১ টা থেকেই উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ সংগঠন, জামায়াত ইসলাম, জমিয়ত ও খেলাফত মজিলশের নেতৃবৃন্দ সহ ছাত্র-ছাত্রীরা বিজয় মিছিল বের করে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।