স্মার্টফোনের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। কারণ আগে মোবাইল ফোন ছিল শুধু কথা বলার জন্য। এখন মোবাইল ফোনের মধ্যে সব আছে। বর্তমান তরুণরা স্মার্টফোনের মাধ্যমে কথা বলার চেয়ে ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করে। এখন কিশোর-কিশোরীদের হাতেও স্মার্টফোন দেখা যায়। বাচ্চারা এখন সারাদিন কার্টুনে আসক্ত থাকে।
মোবাইল ফোনে আসক্তি এখন অন্য নেশার চেয়েও মারাত্মক হচ্ছে। এখন ছেলে-মেয়েরা একবেলা না খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারবে কিন্তু মোবাইল ছাড়া পনেরো মিনিটও কাটাতে পারবে না। ইন্টারনেট হাতের মুঠোয় আসার কারণে এর ভালো ব্যবহারের চেয়ে খারাপ ব্যবহার বেশি হচ্ছে। তাই জেনে নিন এই আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়-
পড়াশোনায় মনোযোগ
নিজেকে পড়াশোনায় ব্যস্ত রাখুন। মোবাইল সাইলেন্ট করে রেখে বা কারো কাছে জমা দিয়ে পড়তে বসুন। পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত মোবাইলের চিন্তা করবেন না। সব পড়া শেষ করে তার পর মোবাইল ব্যবহার করবেন। সেটাও গুরুত্বপূর্ণ কোনো কারণে। অপ্রয়োজনে গেম খেলার কোনো মানে হয় না। পড়াশোনা শেষ করে কিছু সময় খেলতে পারেন।
নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন
ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন। দিনে একটা সময় নির্ধারিত করুন, ওই সময় সব প্ল্যাটফর্মের মেসেজ, নোটিফিকেশন দেখবেন। সারাদিন টুনটুন শব্দ করলে ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হবে।
গ্রুপ চ্যাট বন্ধ
মোবাইল ফোনে আসক্তির অন্যতম কারণ গ্রুপ চ্যাট। তারা এমনভাবে কথা বলে যে, সারাদিন কথা বললেও শেষ হয় না। তাই নির্দিষ্ট সময় ছাড়া গ্রুপ চ্যাট বন্ধ রাখাই ভালো।
বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা
বিকেল হলেও বন্ধুরা মিলে দোকান কিংবা মাঠে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। শারীরিক খেলাধুলা নেই। তাই এখন থেকে মোবাইল রেখে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ইত্যাদি খেলতে পারেন। যতটা পারেন মোবাইল থেকে দূরে থাকবেন।
কিছু অ্যাপ ইনস্টল না করা
একটি অ্যাপে যদি ১০ মিনিট করে পার করেন, তাহলে ১০টি অ্যাপে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পার হয়ে যায়। আপনি যদি একটি বই হাতে নিয়ে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পড়েন, তাহলে অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাই কিছু অ্যাপে সময় নষ্ট না করে পড়াশোনায় মন দিন।
পরিবারকে সময় দিন
আমাদের উচিত, পরিবারকে বেশি বেশি সময় দেওয়া। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্প করা। তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করা। মোবাইলে অতিরিক্ত আসক্তির কারণে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং লেখাপড়ার নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। তাই পরিবারকে গুরুত্ব দিন।
লেখক: ফ্রিল্যান্স ফিচার লেখক।