স্বর্ণচেরাচালান পাচার মামলায় নামাজ আলী নামের এক জনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১০ জুলাই), দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ ও স্পেশাল ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মন্জুরুল ইমাম এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত নামাজ মেহেরপুর সদর উপজেলার শুভরাজপুর গ্রামের নাজিমুদ্দীনের ছেলে।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১১ আগস্ট নায়েব সুবেদার আবুল হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবি’র একটি টহল দল মেহেরপুর সদর উপজেলার শুভরাজপুর এলাকায় টহল থাকাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে শুভরাজপুর সীমান্তের ১৩২ নম্বর মেইন পিলারের কাছে ওৎ পেতে থাকেন। এ সময় শুভরাজপুর গ্রামের নামাজ আলীকে বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করেন।
এ সময় নামাজ আলী পালাবার চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করেন। একই সময়ে শাহজাহান নামের অপর এক ব্যক্তি পালিয়ে যায়। ঘটনায় নামাজ আলীর পিঠে গামছা দিয়ে বেঁধে রাখা ৩৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যা ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে নামাজ আলী জানান।
পরে নামাজ আলীর বিরুদ্ধে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭৪ এর ২৫ বি(১)(এ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় মোট ৭ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করলে, এতে নামাজ আলী দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পিপি পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামী পক্ষে এডভোকেট মিয়াজান আলী কৌশলী ছিলেন