দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের বাংলাদেশ রুপেগুনে। বলা যায় রূপের রানী বাংলাদেশ।সেটা সত্ত্বেও আমরা তার যথার্থ ব্যবহার করতে পারি না। ফলস্বরূপ দেখা যায় যে, বাংলাদেশের মোট আয়ের শুধুমাত্র ৩% আসে পর্যটন খাত থেকে।অথচ আমাদের দেশের মোট আয়ের বেশ বড় একটা অংশ আসার কথা এই পর্যটন খাত থেকে।আমরা তরুণরা চাই আমাদের পর্যটন খাত বিশ্বের দরবারে সুপরিচিত হোক।কিন্তু সেখানে কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে সেটা করা কষ্টকর হয়ে যায়।
সে গুলো হল যেমন আমাদের দেশের পর্যটন স্পটগুলোতে দেখা যায় দেশীয় পর্যটকরা অসচেতনতার পরিচয় দিয়ে ময়লা আবর্জনা যত্রতত্রভাবে ফেলে পরিবেশ এবং পর্যটন স্পট গুলো দূষিত বা ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।আমাদের ট্যুরিস্ট স্পটগুলো নিয়ে পর্যাপ্ত প্রচারের অভাব, সঠিক মার্কেটিং এবং প্রচার করা গেলে হয়তো ট্যুরিস্ট স্পটগুলো পরিচিতি পেয়ে এদেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে অনেকটা সহায়তা করবে।
আমাদের দেশের অনেক ট্যুরিস্ট স্পটে পর্যটকরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন যেমন বলতে গেলে, ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতে হোস্ট কমিউনিটি দ্বারা হয়রানির শিকার এবং দর্শকদের মালামাল চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়।
যার কারণে পর্যটকরা ভয়ে থাকে।আমাদের পর্যটন শিল্পের নীতি নির্ধারকরা চাইলে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এ পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
আমাদের দেশের পর্যটন শিল্প অনেক সম্ভাবনাময়। রূপের রানীখ্যাত এই দেশটাতে চাইলে আমরা আমাদের দেশীয় আয়ের বেশিরভাগ এই পর্যটন খাত থেকেই পেতে পারি।আমাদের আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ( পাহাড়, লেক, সমুদ্র, হাওর, নদী ইত্যাদি), আরো আছে কালিনারি এন্ড হ্যান্ডি ক্রাফট, আকর্ষণীয় স্যুভেনিয়র, ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং আরো আছে দৃষ্টিনন্দন লোকাকর্ষিত বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুষ্ঠান।
আমরা চাইলে এগুলোর যথার্থ মার্কেটিং করে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারি।আমাদের দেশের পর্যটন খাতের সবচেয়ে পর্যটক এট্রাক্টিভ টুরিস্ট প্রোডাক্টটা হলো ” ইকো ট্যুরিজম “। এই ইকো ট্যুরিজমের যথার্থ প্রচার করতে পারলেই আমাদের দেশের পর্যটন খাত অনেকটাই এগিয়ে যাবে।অনেক ভালো ভালো পর্যটন স্পটগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা তেমন একটা ভালো না। এই যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশগুলোই এখন প্রযুক্তির ছোঁয়ায় প্রতিটা ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই , তাই আমাদের দেশের প্রতিটা পর্যটন স্পটে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
বিদেশি পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে পর্যটন স্পটগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির আবাসস্থল তৈরি করতে হবে।আসুন আমরা সবাই নিজেরা সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করে আমাদের পর্যটন স্পটগুলো রক্ষা করে দেশীয় আয় বৃদ্ধিতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করি।
লেখক, সাইদ
শিক্ষার্থী ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ।
রাবিপ্রবি।
ভিউ: ৩০৮