
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকার শ্রী শ্রী কালী মাতার বারোবাড়ি মন্দিরে ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর পাশাপাশি সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামীন মেলা। মেলায় আসা দর্শনার্থীরা শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয় সকল ধর্মের মানুষ এই মেলায় আসে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নেয়। আজ ১৪ মে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে চড়ক গাছে জীবন্ত মানুষের পিঠে লোহার বড়শি ফুড়িয়ে বাঁশের চড়কিতে বেধে ঘুরানো’ বিষয়টি শুনলেই গা শিউরে উঠে। এটির নামটি চড়ক পূজা। জনসমাগমের মধ্য দিয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয়ে গেল হিন্দু ধর্মাম্বলীদের ঐতিহ্যবাহী কালী পুজার চরক মেলা।পহেলা বৈশাখ উদযাপন ও বাংলা নববর্ষকে বরণ উপলক্ষে প্রায় এক শত ২৩ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে চড়ক পূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মেলাটি উদযাপন করা হয়। মেলা উদযাপন কমিটির সূত্রে জানা গেছে, চড়ক পুজায় যাদের বড়শী বিধিয়ে চরকীতে ঘোরানো হয় তারা এক সপ্তাহ যাবৎ উপবাস করে থাকেন। এই মেলাটি সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন এবং সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম হয়।চড়কের মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থী প্রিয়াস, প্রকাশ কুমার, মিতা রাণী পাল, জুতি রাজ বংশী, ববিতা রাজ বংশী ও সেফালী রাণী জানান, শরীরের মধ্যে বরশি এবং শিক বিধিয়ে চরকীতে ঘোরা বিষয়টি শুনলেই গা শিউরে উঠে তাই দুরান্ত থেকে ছুটে আসে মানুষ। প্রতিবছর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা বাংলা সনের চৈত্র সংক্রান্তির মাঝামাঝি সময় এক শত বছর ধরে এই চরক পুঁজা ও মেলার আয়োজন করে। আয়োজক কমিটির সভাপতি রতন কুমার বলেন, আমরা বাল্যকাল থেকেই দেখে আসছি এ চড়ক মেলাটি। শুধু স্থানীয়রা নয়, পাশ্ববর্তি জেলা থেকে হাজারো মানুষের দেখতে আসে এ চড়ক মেলা।মেলা উপভোগ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড় জমতে দেখা গেছে, সেই সাথে চড়ক মেলাকে কেন্দ্র করে মেলায় রকমারী দোকান বসেছে, যা শিশু ও কিশোর কিশোরীদের আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে।