ক্ষুধার জ্বালায় মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে দিন গুনছে মেমানিয়া ইউনিয়নের অসহায় একটি পরিবার দেখার মত কেউ নেই।
বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের ইন্দুরিয়া মুখেরচর গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ড এর স্থানীয় বাসিন্দা মৃত আব্দুর রশিদ খাঁন।
রশিদ খানের ইন্দুরিয়া মৌজার জেল নং ১০০ খতিয়ান নং ২৮৫ এবং ছয়টি দাগ ৩৬০, ৩৮৭, ৩৮৮, ৩৮৯, ৩৯০,৩৯১ এই ছয়টি দাগে মোট জমি ৪.৩৩ শতাংশ এর থেকে আব্দুর রশিদ খান ২২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছে।
দ্বিতীয় পক্ষ সুলতান বেপারী গং তারা মাত্র ৫১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ওই ছয়টি দাগের বাড়ির পাচ দাগে জমি অংশ হারে সে পাবে ১৪ শতাংশ এবং দখলেও আছে ১৪ শতাংশ বাকি জমি অন্যান্য দাগে ভোগ করে আসছেন।
গত ০৯,০২,২০২১, ইং , তারিখে আব্দুর রশিদ খাঁন মৃত্যুবরণ করেন।
রশিদ খাঁনের মৃত্যুর পরে রশিদ খানের দখলীয় সম্পত্তির ভিতর সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সুলতান ব্যাপারী ও সাহাদ আলী গং দুই থেকে তিন মাস আগে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পুরো রাস্তায় কাটা বাস খুঁটি ইত্যাদি দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয় এখন বাড়ি থেকে বের হওয়ার আর কোন রাস্তা নেই।
এই বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সহ আরো গণমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয় কিন্তু এর কোন সঠিক সমাধান এখনো পাইনি তাই নিরুপায় হয়ে হিজলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিন্তু তাতেও কোন সমাধান হয়নি।
থানায় অভিযোগ দায়ের করাতে দ্বিতীয় পক্ষ সুলতান ও সাহাদ ব্যাপারী গং রাগান্বিত হয়ে মৃত আব্দুর রশিদ খান এর বাড়ির ভিতরে ঢুকে রশিদ খাঁন এর স্ত্রী ও সন্তানদের মারধর করে রক্তাক্ত করে নির্যাতন করে এবং মৃত আব্দুর রশিদ খানের বাড়ির ভিতরে যে সমস্ত গাছপালা ছিল সেখান থেকে প্রায় আনুমানিক ৪০ বা ৫০ হাজার টাকার গাছ কাটিয়া নিয়ে যায়।
মারধর ও গাছ কাটার বিষয়টি হিজলা থানায় জানানোর পরেও দ্বিতীয় পক্ষ আমাদেরকে ভয়-ভীতি হুমকি প্রদান করে এবং আমাদের নামে একের পর এক মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করতেছে।
তারা ছয়টি দাগে ৫১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন অংশ হারে যেই দাগে তারা ১৪ শতাংশ জমি পাবে সেই একটি দাগেই তারা ৫১ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা করতেছে।
স্থানীয় সালিশ সহ আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এসে তাদেরকে বলে তোমরা এই দাগে জমি পাবে ১৪ শতাংশ কিন্তু তোমরা পেশী শক্তিতে আব্দুর রশিদ খান এর দখলীয় সম্পত্তির ভিতরে এসে জবর দখল করছ কেন তার কোন সঠিক জবাব তারা দেয় না তাই সালিশ গণ বিরক্তি হয় এখন আর আসে না তারা বলে ওরা আমাদের কথা শোনে না আমরা কি করব।
এখন আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তায় কাঁটা দিয়ে বেড়া দিয়ে আমাদেরকে গৃহবন্দী করে রাখছে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে না পারার কারণে চাল ডাল তেল নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচাবাজার সহ সকল প্রকার মালামাল কিনতে না পারায় আমাদের জীবন এখন হুমকির মুখে।
এখন নিরুপায় হয়ে মোঃ ইসরাফিল খাঁন সাংবাদিকদের বলেন আপনাদের মাধ্যমে উপরোক্ত বিষয়গুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত কুমার সিংহ ও সার্কেল এসপি এবং ডিসি সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি আমাদের পরিবারকে বাঁচান আমাদের জীবন এখন মৃত্যুর মুখে।